#পর্বঃ২
বিকালে মেয়ে দুইটা আমাদের বাড়ি আসতেই আমি অবাক। জীবনে অনেক মেয়ে দেখেছি কিন্তু এই দুইটা মেয়ের মাঝে একটা মেয়ে বড়ই অদ্ভুত লাগছে।একটা মেয়ে খুব ই সুন্দর গোছগাছ আর পরিপাটি ভাবে এসছে।আরেক টা মেয়ে একদম গম্ভীর। পচপচে তেল লাগানো মাথায় বেনী করা সেকেলে একটা ভাব একদম গাইয়া।আমি প্রাথম বার তাকিয়ে ওয়াক করেছি কিন্তু পাশের মেয়েটা না জাস্ট অস্হির।
মা আমাকে বললো যা ওদের রুম টা দেখিয়ে দিয়ে আয়।আমার রুমের পাশেই ওদের রুম।আমি ওদের রুম দেখাতে নিয়ে গেলাম।আর প্রশ্ন করলাম আপনাদের নাম।যে মেয়েটি পরিপাটি আর স্মার্ট খুব সে মিষ্টি করে হেসে বলছে আমার নাম অহনা। আমি দ্বীতীয় মেয়েটিকে বলি আপনার নাম যে উত্তর না দিয়ে রাগি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।সে কোনো কথা বললো না আমি রিতীমত অপমান হলাম।পশের মেয়েটা বলে ওর নাম মায়া।কিছু মনে করবেন না ও আমার বেষ্টু একটু লাজুক ছেলেদের সাথে কথা কম বলে।
![]() |
আত্মার ফেলে আসা ভালবাসা |
মেয়ে দুইটির কিচেন বাথারুম সহ সব দেখিয়ে দিয়ে এলাম।
আজ রাতে আবার ছাদে গেলাম দেখি মায়া নামের ওই মেয়েটি ছাদে দাঁড়িয়ে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে একাই। কি সাজ গোজের শ্রী হুহ।আমি মেয়েটির কাছে গিয়ে বলি এখানে দাঁড়িয়ে কি দেখেন হ্যা মেয়েটি বলে আপনাকে কে বললো আমি এখানে দাঁড়িয়ে কিছু দেখছি যত্তসব বলেই মেয়েটি ছাদ থেকে নিচে চলে গেলো।
এর ই মাঝে সেই ফুলের ঘ্রাণ টা আবার পাওয়া গেলো।আবার সেই মিষ্টি মায়াবী কণ্ঠ বলে কেমন আছে।ওই সুন্দর মেয়েকে দেখে খুব পছন্দ হইছে তাইনা।আর আমি যে এই পাঁচ বছর ধরে আপনাকে ভালবাসি তার বেলায়।
শান্ত বলে তুমি কেমন আত্মা সামনে আসো না।সে বলে সামনে এলেই কি আপনি আমাকে ভালবাসবেন।না আমার আত্মা দেখার খুব শখ।মেয়েটি বলে আমি তোমাকে সাবধান করতে এসেছি এখানে অনেক মায়া আছে যার মাঝে তুমি ঠিক ভুল গুলিয়ে ফেলবে তাই সাবধান।
এর ই মাঝে নিচে থেকে মা ডাকছে শান্ত নিচে আয় বাবা খেতে আয় শান্ত নিচে যাচ্ছিলো হটাত পাশ থেকে শান্তর মা হাত চেপে ধরে বলে যাস না বাবা আমি অনেক ক্ষণ এই ডাক শুনছি।আমাদের বাড়িতে ভয়ংকর কিছু প্রবেশ করেছে।
শান্তর চোখ তখন ভয়ে বড় বড় হয়ে আছে সামনে তার মা দাঁড়িয়ে এদিকে নিচেও তার মাকে দেখতে পাচ্ছে।
ভয়ংকর সে রাত ঘুটঘুটে অন্ধকার শান্ত ভয়ে তার মাকে জড়িয়ে ধরে। একি নিজের মাকে জড়িয়ে ধরার পর দেখে মায়ের মাথায় অনেক বড় বড় চুল আর অন্ধকারে সেগুলা সাদা চকচক করছে।
একি মায়ের চুল গুলো তো সাদা নয় তাহলে কিভাবে সম্ভব এটা আমি তাহলে কোনো খারাপ আত্মাকে জড়িয়ে ধরেছি।ভয়ে আমার হাত পা থর থর করে কাঁপছে।
নিচে মা ডাকছিলো কিন্তু মায়ের রূপে অন্য কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।এদিকে কারেন্ট ও নেই কি একটা ভয়ংকর অবস্হা।
যে আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে তার চোখ দুটো আগুনের মতো জ্বলজ্বল করে জ্বলছে।চোখের আগুন দিয়ে ধোয়া বেরোচ্ছে।ধোয়া দিয়ে সাদার একটা কুন্ডলি পাকায়ে তার মাঝে একটি মেয়ের রূপ দেখা যাচ্ছে।
শান্ত যে কাউকে ডাকবে সে উপায় নেই। সে মেয়েটা র অদ্ভুত রূপ দেখতে কি ভয়ংকর।
যেন শান্ত কে গিলে খেয়ে ফেলবে।এর ই মাঝে সেই গেঁয়ো মেয়েটা হাজির।সে এসে আমাকে বলছে আপনি এখানে হা করে দাঁড়িয়ে আছেন।মেয়েটি কথা বলার সাথে সাথে সেই ভয়ংকর আত্মাটা চলে গেলো।
যাক বাবা যার জন্য ঘৃণা ছিলো শেষ মেষ তার জন্য প্রাণ টা বাঁচলো।হটাত সেই মিষ্টি ফুলের গ্রাণ টা পাচ্ছি।আমি ফুলের সুবাস প্রাণ ভরে নিচ্ছি।এর ই মাঝে মেয়েটি বলে কি শুকতেছেন।আমি বললাম আপনি পাচ্ছেন না।একটা সুন্দর ফুলের সুবাস।
মেয়েটি বলে আপনি এত ভয় পেয়ে আছেন কেনো?শান্ত বলে না মানে কিছু না।মেয়েটি মিচকি হেসে বলে বুঝেছি ছেলে মানুষ তাই ভয়ের কথা বলতে লজ্জা হচ্ছে।যাক বাবা মেয়েটিকে যেমন ভেবেছিলাম একেবারে তাও না।ওর জন্য কোনো মতে প্রাণ বাঁচলো।
কারেন্ট নেই ঘুটঘুটে অন্ধকার।আমি কোন রকম রুমে গেলাম।রুমে গিয়েই সেই গ্রাণ টা।ঘ্রাণ টার প্রেমে পড়েছি আমি।এত মিষ্টি সে ঘ্রাণ।আমি তখন বলে উঠি এই আপনি না বললেন আমাকে রক্ষা করবেন। আজ তো প্রাণেই মরছিলাম।কই মরেন নি তো।আর আমি থাকতে মরবেন না বুঝলেন।
আমি বললাম নাম কি তোমার? সে বলে আমার নাম মৌ।মৌ আত্মার আবার নাম ও হয়।হুম হয় তো।
আর শুনুন আমাকে তুমই করেই বলবেন একবার আপনি আরেক বার তুমি এটা কি হ্যা? তুমি ই বলবেন।
গল্পটি আগেই আমার ওয়েব সাইটে পোস্ট তাই কেউ কপি করবেন না।
ইশ এত সুইট ভয়েজ কোনো মেয়ের হয়।আত্মা না হয়ে মানুষ হলো না কেনো?ভয়েজ এ মানুষ খুন হবে।তারপর ওর ঠান্ডা শরির দিয়ে আমাকে জড়িয়ে নিলো।আমার নিজেকে ছাড়ানোর উপায় নেই।
এই আত্মাটাকে শুধু মাত্র আমার ভয় করে না। তার কিছ সময় পরে ঘটে।
#লেখাঃমৌসুমি
0 comments:
Post a Comment