#পর্বঃ৩
ঘন কালো অন্ধকার রুমে দেখা যাচ্ছে না ছোয়া যাচ্ছে না শুধু অনুভব করা যাচ্ছে এমন কেউ আমাকে আলিঙ্গন করে আছে। বিষয় টা যে কারোর কাছেই ভীষণ ভয়ংকর হলেও আমার কাছে বিষয় টা বেশ ইজি কারণ এর আগে স্বপ্নে এই ঘ্রাণ এই স্পর্শ আমাকে কাছে টেনেছে।
মৌ নামের আত্মা টা বলছে আচ্ছা এবার আর ভয় করছে না তো।আমি বলছি না।আমি তাকে দেখতে পাই না তবুও সে আমার কত্ত কেয়ার করে আমি ভাবতেই পারি না।
সে আমাকে বলছে তোমার বাসার মেয়ে দুইটার সাথে বেশী কথা বলবা না।আমি বললাম কেনো কেনো? সে বলে আমার খুব হিংসা হয়। তুমি যদি ভালবেসে ফেলো।আমি বললাম তুমি তো একটা আত্মা তোমার তো কোনো অস্তিত্ত ই নেই।আমি কিভাবে ভাল বাসতে পারি সেটা বলো।তখন ই আত্মা টা বলে এভাবে আজ যেমন আছি।আমি হেসে উড়ায় দি।কারন আমি শুনেছি জ্বীন আত্মা এরা সুন্দর চেহারার মানুষ দের উপর নজর দেই তাই আমি আর এ বিষয় টি অত সিরিয়াস নিচ্ছি না।
এর ই মাঝে আমার ভয় টা বেশ কমেছে।বাইরে থেকে অহনা আমাকে ডাকছে।এই দিকে আত্মা আমাকে ধরে রেখেছে।অহনা ডাকছে মিষ্টি করে শান্ত একটু বাইরে আসবে।আমি উঠে গেলাম আত্মা টা কে রেখেই বুঝতে পারছিলাম আত্মা টা রেগে যাচ্ছে তবুও আমার কিছুই করার নেই কারণ অহনা আমার ক্রাশ।
ও ডাকলে আমি বাইরে না এসে পারি না।আমি বাইরে এসে বললাম অহনা কিছু বলবে।সে বলে চলো না একটু ছাদে যায় খুব ই বোরিং লাগছে আমার।আমি তো মহা খুশি অহনা কে ইমপ্রেস করার একটা সুযোগ অন্তত পেলাম।আমি বললাম শিওর চলো যাবো না কেনো?
গল্প কেউ কপি করবেন না কারণ এটা আগেই আমার ওয়েব সাইটে পোস্ট করা আছে।
আমি আর অহনা ছাদে গিয়ে দুজন বেশ আড্ডা দিচ্ছি।আমি ও বেশ বুঝতে পারছিলাম অহনার আমার উপর একটা বেশ ভাল লাগা কাজ করছে। কারণ মানুষের কথা শুনলেই তার ফিলিংস টা বোঝা যায়।আমি অহনাকে বললাম তার বাড়ি তে কে কে থাকে সে বললো তার দুই ভাই মা বাবা আর সে একাই।এক বাবার বেশ আদুরি মেয়ে।বললাম তুমি এখানে একা থাকো ফ্যামিলি মিস করো না বললো লেখাপড়ার জন্য এত টুকু করতেই হবে।হুট করেই আমার মনের কথা টা অহনা বলে উঠলো আপনার কি বিশেষ কেউ আছে আমি অমনি বলে বসলাম নাহ তবে তোমার মতো কাউকে পেলে ভিন্ন কথা।
![]() |
আত্মার ফেলে আসা ভালবাসা |
আমি অহনার সাথে গল্প করতে করতে কখন যে ছাদ থেকে পড়ে যাচ্ছিলাম নিজেই খেয়াল করি নি তবে যখনি পড়ে যাচ্ছিলাম অবলম্বন হিসাবে একটি হাত পেয়েছিলাম যেটা ধরে আমি উঠে আসতে পারবো।ওই হাত টাই আমাকে পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়।আমি ভাবছিলাম যে অহনা আমাকে বাঁচিয়েছে কিন্তু উপরে উঠে দেখি না ওটা অহনা ছিলো না ওটা মায়া ছিলো।মায়া আমাকে বলে আপনার কি সব অসচেতন কাজ।নিজে তো মরছিলেন সাথে আমার বান্ধবী টাকেও সাথে নিয়ে।আমি দেখি অহনা ছাদে পড়ে আছে।কেউ একজন আমাদের দুজন কে ধাক্কা দিছিলো।ওই আত্মা টা নয়তো যে আমাকে ভালবাসি বলে।হুম শিওর ওই আত্মা টাই এই যে সেই সুবাস টা পাচ্ছি।আমার মন কে অস্হির করে তোলে এই ঘ্রাণ।তাই বলে সে আমার সাথে কাউকে মিশতে দিবে না এভাবে মারার চেষ্টা করবে।
অহনা কে আমি আর মায়া দুজনে ধরে ওর রুমে নিয়ে যায়।মায়া কে বলি ওর মাথায় পানি দিতে। অনেক্ষণ পানি দেওয়ার পরে অহনার হুঁশ আসে। অহনা যেন প্রচন্ড ভয় পেয়ে আছে আর সে বলছে মায়া কাল ই এই বাসা ছেড়ে দিবো এখানে কিছু একটা গন্ডগোল আছে।
আমি তো অহনা কে কিছু তেই যেতে দিবো না আমাদের বাসা ছেড়ে কারণ আমার মনে খুব লেগেছে ওকে।
আমি বললাম হুপ এখানে কিছুই নেই।ওটা তোমার মনের ভুল।
আমি অহনার সাথে বেশ চুটিয়ে প্রেম করছিলাম।কিন্তু ওই মায়া নামের মেয়েটি কেমন একটা করতো আমাদের দেখে।
কেমন একটা অদ্ভুত নজরে তাকিয়ে থাকতো আমাদের দিকে।
যখন ই আমি আর অহনা প্রেম করতাম ওই মায়া কেমন মায়াবী দৃষ্টি তে ফলো করতো আমাকে?
মাস দুয়েক হয়ে গেছে ওরা আমাদের বাসায় এসছে আমার দিন দিন কেমন একটা সন্দেহ হতো মায়াকে।
সারাদিন বই নিয়ে বিজি কথা না বললেই চলে ওর।তবে ও তখনি রুম থেকে বেরোই যখন আমি কোনো প্রব্লেম এ পড়ি।
আবার এই দিকে আমার আত্মা প্রেমিকা টি বাড়িতে ভূতুড়ে কান্ড চালিয়েই যাচ্ছে।রোজ বাড়িতে কেউ না কেউ ভয় পেয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমি কাউকে বলতে পারছি না একটা আত্মা রোজ আমাকে ভালবাসার কথা বলে আর সে হিংসায় এমন করছে।
অহনার সাথে রিলেশন এর ঠিক দুই মাস পরেই আমার কেমন একটা অনিহা চলে আসে অহনার উপর।আমার কেমন যেনো মনে হতো আমি অহনাকে মন থেকে ভালবাসি না ওটা আমার ভাললাগা থেকে হয়েছে।
ওই মৌ নামের আত্মা টার সাথে গল্প করতেই আমার ভাল লাগতো।
আমার ভীষণ দেখতে ইচ্ছা করতো তাকে।
সে খুব ই কষ্ট প্রকাশ করতো আমার কাছে।
আমি একটা অন্য জগতে প্রবেশ করে ফেলছিলাম নিজের অজান্তেই।
তারপর আমার সাথে ঘটে যায় অদ্ভুত কাহিনী যেটা আমার কল্পনার বাইরে ছিলো।
#লেখাঃমৌসুমি
0 comments:
Post a Comment