https://www.videosprofitnetwork.com/watch.xml?key=8cf0b61af69080e05fa4a951cb6774cb একাত্ম ভালবাসা ~ Mou Er Golpo

Its Mou Er Golpo Website http://feeds.feedburner.com/MouErGolpo

Saturday, July 4, 2020

একাত্ম ভালবাসা

🍁
সোহেল ভাইয়ার কল পেয়ে আমি অবাক।শান্ত আমাকে প্রশ্ন করে কার কল।আমি শান্ত কে বললাম রং নাম্বার।কারণ এত রাতে সোহেল ভাইয়ার কল শান্ত আবার কি ভাববে।শান্ত আমাকে জোরাজোরি করলো রিসিভ করার জন্য।শান্ত বলে কোনো ইমারজেন্সি কল ও তো হতে পারে।আমি কোনো মতে শান্তকে ভুল বুঝিয়ে নিজের রুমে এসে সোহেল ভাইয়া কে কল দিলাম।সোহেল ভাইয়া যা বললো তাতে আমার পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো



সোহেল ভাইয়ার একটা বন্ধুর নাকি চরিত্র খুব ই খারাপ।সে মেয়েদের রুমে যায় টাকার বিনিময়ে।সেই ছেলেটা নাকি আজ একটা মেয়ের রুমে গেছিলো আর তার উলঙ্গ কিছু ছবি ও তুলে এনেছে।সোহেল ভাইয়ার বন্ধু সোহেল ভাইয়া কে বলে তোর তোর তো মন খারাপ থাকে আমার মতো টাইম পাস কর মন ভালো থাকবে।সোহেল ভাইয়া কে এক প্রকার জোরাজুরি করে ছবি গুলো দেখাই।সোহেল ভাইয়া ছবি গুলো দেখে নিজেকে সংযত রাখতে পারে নি কারণ ছবিতে মেয়েটি পিহু আপু ছিলো।
সোহেল ভাইয়ার শরীরের পশম গুলো খাড়া হয়ে গেছিলো ছবি গুলা দেখে।


সোহেল ভাইয়ার কথা শুনে আমার পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছিলো। কিহ! আমাদের পিহু আপু সে আজ যৌনতায় লিপ্ত।তাও টাকার বিনিময়ে কিন্তু কেনো?কেনো আজ তাকে এত নিম্ন রাস্তায় নামতে হলো।আমি তো ভেবেই পাচ্ছিলাম নাহ কি কারণ হতে পারে।আজ তো পিহু আপুর তার ভালবাসার মানুষের সাথে সাংসার করার কথা তাহলে কি পরশ ভাইয়ার বড় কোনো অসুখ বা অন্য কিছু ঠিক কি কারণ হতে পারে যার জন্য টাকার এত প্রয়োজন পিহুর।তাছাড়া পিহু আপু তো যাওয়ার সময় নগদ পাঁচ লাখ টাকা সহ সমস্ত গহনা নিয়ে গেছে মাত্র এ কদিন এ সব টাকা কিভাবে শেষ হতে পারে।
একাত্ম ভালবাসা
একাত্ম ভালবাসা
সোহেল ভাইয়ার কথা গুলো আমার কানে বাজছে।সোহেল ভাইয়ার বুক ফাটা আর্তনাদ আমি স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি। ভালবাসার মানুষ টার এত অবনতির কথা শুনলে কারোর ই মাথা ঠিক থাকার কথা নয়।সোহেল ভাইয়া প্রচন্ড ছটফট করছে। আজ তার এত টাকা থাকতেও তার ভালবাসার মানুষ টাকার বিনিময়ে এসব করছে।আর মামা মামি জানলে আত্মহত্যা করবে লজ্জা আর ঘৃনায়।
কি করা যায় ভেবে কোনো উপায় পেলাম নাহ।যে অশালিন ছবি গুলো সোহেল ভাইয়া আমাকে পাঠিয়েছে তা দেখে আমি যেন নিজের চোখ কেই বিশ্বাস করতে পারছি না।পিহু আপু অত্যান্ত৷ ভদ্র একটা মেয়ে কি ঘটে গেলো তার জীবনে সেটা আমাকে জানতেই হবে।
পরের দিন খুব ভোরে সোহেল ভাইয়ার অফিসে গেলাম আমি। আর ভাইয়াকে বললাম ভাইয়া ইমিডিয়েট পিহু আপুর সাথে যোগাযোগ করেন।আপনার ওই বন্ধুর সাথে কথা বলেন পিহু আপুর ঠিকানা বাইর করেন।
দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে সোহেল ভাইয়া বলেন সে চেষ্টা আমি তুমি বলার অনেক আগেই করেছি মৌ।পিহু কোনো হোটেল এ থাকে না ওর নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই ওর।ও কারো অধীনে দেহ ব্যবসার কাজ করে আর তার সাথেই যে কোনো জায়গা তে যায়।বুঝতে পারলাম এভাবে খুজে পাওয়াটা সহজ হবেনা পিহু আপুকে।
এদিকে সোহেল ভাইয়া তার মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পিহু আপু কে খুজতে।
আমি পিহু আপুকে খোজার কাজে ব্যস্ত।এদিকে শান্তকে তেমন একটা সময় দিতে পারি না।আর আমি সারাদিন কেনো ব্যস্ত থাকি কি করি সেটা নিয়ে জানতে চাই।কিন্তু পিহু আপুর ব্যাপার টা জানলে শান্ত কিভাবে নিবে এটা ভেবে আমি আর ওকে তেমন কিছু জানায় না।
এটা নিয়ে শান্ত রাগারাগি করে বাইরে চলে যায়।হটাত ওর বন্ধুর কল পেয়ে আমি ছুটে যায় হসপিটালে।
শান্তর এক্সিডেন্ট হয়েছে ওর বন্ধুর ফোনে আমি পাগলের মতো ছুটে চলে যায় হসপিটালে অচেতন শান্ত কে দেখে আমি নিজেকে অটকাতে পারছিলাম না।কাছে ছুটে গিয়ে বললাম তোমার কি হয়েছে শান্ত আমি তোমাকে বড্ড ভালবাসি নিজের প্রাণের সমান ভালবাসি শান্ত।তুমি চোখ খোলো প্লিজ।আমার এক মুহুর্তের জন্য মনে হচ্ছিলো আমার প্রাণের বিনিময়ে যেন শান্ত সুস্থ হয়ে ওঠে।ওর বুকে নিজের মাথা রেখে কাঁদছিলাম তখন শান্ত চোখ খুলে বলে এই পাগলী আমি মজা করছিলাম আমার কিছু হয়নি।আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে এত ভালবাসো আমাকে বৌ পাখি টা।
আমি চুপ।
আরে পাগলি আর কাঁন্না নয়।সামান্য চোট লেগেছে।এত গুলা মানুষের মাঝে জড়িয়ে ধরলে লজ্জা করলো না।আমি বেশ লজ্জা পেলাম তখন।শান্ত কে নিয়ে বাসায় ফিরলাম।
বেশ কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর মামার ব্যবসায়ের একটা জরুরি কাজ পড়ে যায় মালায়েশিয়াতে।এদিকে শান্ত ছাড়া যাওয়ার কেউ নেই আর।শান্তর আমাকে ছেড়ে যেতে মোটেও ইচ্ছা হচ্ছিলো না।আমার জোরাজোরি তে তাকে যেতে হলো।শান্ত বার বার বলছিলো আমি তোমার থেকে দূরে গেলে তোমাকে হারিয়ে ফেলবো আমি আমি বললাম ওই আমি কি মরে যাবো হ্যা যে হারিয়ে ফেলবা।আর আমি মরে গেলেও ওপারে অপেক্ষা করবো বুঝলে গুন্ডা।আমার মুখে মরার কথা শুনেই খুব ই রেগে গেলেন তিনি রাগে আমাকে সত্যি সত্যি মেরে ফেলতে পারলে হয়তো সে শান্ত হতো।দেখতে দেখতে ওর যাওয়ার সময় হয়ে এলো।শান্ত কে বিদাই দিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিলো মনে হচ্ছিলো যেনো আমরা পৃথিবীর দুই প্রান্তে চলে গেছি।
কে জানতো এই দূরে যাওয়া থেকেই আমাদের দূরত্ব শুরু,,,,,,,
চলবে,,,
Share:

0 comments:

Post a Comment

Definition List

Unordered List

Support