#শেষপর্ব
বৃন্দা ই সেই মেয়ে যার মাধ্যমে নাগেদের আসল উদ্দেশ্য হাসিল করবে।
মাহিন ছিলো দৈব শক্তির অধিকারী
মাহিন কে মেরে তাদের কাজ অর্ধেক টা হয়ে গেছিলো।
তারা পরে জানে ওই বংশে এক ই চিহ্ন বিশিষ্ট আরেকজন এর জন্ম হবে যার জন্য নাগেরা তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারবে না।
![]() |
বিষকণ্যা |
এই নাগ গুলো খারাপ তারা নাগরাজ আর নাগরাণী কে হত্যা করে নাগমণি দখল করে নিয়ে নাগপুরিতে রাজত্ত্ব করছে।
আর এদের ইচ্ছাছিলো পৃথিবীর সব জায়গা এরাই রাজত্ত্ব করবে কিন্তু মাহিনের বাবা সেটা হতে দিচ্ছিলো না।ওদের থেকে নাগমণি ছিনিয়ে নিয়ে ওদের ক্ষমতা কেড়ে নেই সেই নাগমণি এখনো জমিদার দের সেই রুমে সংরক্ষিত যেখানে বৃন্দাকে তপস্যা করতে দেওয়া হয়।
যাদের গল্প পড়তে ভাল লাগে আইডি তে ফলো দিন
এই খারাপ নাগেরা চাই অনিকের মেয়ে পরীর রক্ত নিয়ে তারা খারাপ তপস্যা করে শক্তি অর্জন করবে।
কারণ পরী সেই চিন্হের শুভ শক্তি।
বৃন্দা এ সব সত্য জেনে যায় এক সময়।তাই বৃন্দা অনিক কে বলে আমি খারাপ হলেও আমি একজন মা।
আমি ভালবাসা বাঁচাতে ভুলেই গেছিলাম পরী ও আমার ভালবাসা।
বৃন্দা খারাপ নাগেদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেই না।
সাপেদের শক্তি যাতে নষ্ট হয় তাই বৃন্দা পরীকে বিদেশ পাঠিয়ে বনের হিংস্র পশুদের রক্ত নিয়ে নাগেদের দেই
এই রক্ত মহা নাগ তাদের যোগ্য দেওয়ার সাথে সাথেই তাদের বিনাশ ঘটে।
বৃন্দা মাহিনের কাছে গিয়ে খুব কান্নাকাটি করে।মানুষ থেকে অমানুষ হয়েও আমি তোমাকে পেলাম না মাহিন।
তখন মাহিন বৃন্দাকে বলে আগের সব কথা ভুলে যাও।আমার পুনরায় জন্ম হয়েছে বৃন্দা।অনিকের মাঝে আমাকে খুজে পাবে।
আগের জন্মের মাহিন এই জন্মের অনিক হয়ে জন্মগ্রহন করেছি আমি।তুমি তোমার সমস্ত শক্তির বলিদান দাও বৃন্দা।
আর অনিকের সাথে সংসার করো।
অনিকের হয়তো কিছুই মনে নেই।কিন্তু তুমি অনিক কে ভালবাসো বৃন্দা।আর পরীর খেয়াল রাখো। বলেই মাহিনের আত্মা উধাও হয়ে যায়।
অনিক এই পুরো ঘটনাটা চোখের সামনে দেখে আর ভাবে কই আমার তো কিছুই মনে পড়ছে না।
ঠিক তখন ই মাহিনের আত্মা অনিক কে বলে অনিক তোমার কিছুই মনে পড়বে না।
আমার কোনো পুনঃজন্ম হয় নি।
বৃন্দা অনেক কষ্ট পেয়েছে অনেক ভাল মেয়ে ও।তুমি কখনো আমার অভাব বুঝতে দিও না বৃন্দাকে।
অনিক তখন ভাবে বৃন্দা কেনো মাহিনের জন্য এত পাগক।কারন মাহিন সত্যি বৃন্দাকে খুব ভালবাসে।
অনিক বৃন্দাকে আপন করে নেই।আর বৃন্দাকে অনিক কে মাহিন ভেবে খুব ই ভালবাসে।
বিষকন্যা তার বিষাক্ত জীবন ত্যাগ করে সুখে শান্তিতে সংসার করে।
লেখাঃমৌসুমি
0 comments:
Post a Comment