পূর্ণিমা রাতে ভয়ংকর রুপে সে জেগে ওঠে

 পূর্ণিমা রাতে ভয়ংকর রুপে সে জেগে ওঠে 
#পূর্ণিমা_রাতে_ভয়ংকর_রূপে_সে_জেগে_ওঠে
#পর্বঃ৪

পূর্ণিমা রাতে ভয়ংকর রুপে সে জেগে ওঠে 

রকি আর আমি এক নৌকায় আসছিলাম।এসেই মাঝ বিলে দেখি নিলয় কে নিয়ে তোরা অন্য নৌকাতে।
হটাত রকি আমার কাছে আসে আমাকে আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করে।

যাদের গ্রুপে পর্ব পেতে সমস্যা হয় তারা আইডিতে ফলো দিতে পারেন।

আমি বুঝতে পারি নি রকি করতে চাচ্ছে।আমি বললাম রকি এটা কি করছিস। রকি বললো সারাজীবন তো তোকে নিলয় ই ভোগ করবে আমাকে একটু ভোগ করতে দে।দেখ সাথি তুই কত সুন্দর।

এই পূর্ণিমার আলোতে এমন গভীর রাতে একা পেয়ে সামলায় কেমনে বল।বলেই রকি আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে।
নিলয় অন্য নৌকা থেকে যখন লাফিয়ে পড়ে আমাকে বাচানোর জন্য তোরা নিলয় কে নির্মম ভাবে মেরেছিস।

নিলয় কে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তোরা চারজন পালাক্রমে আমাকে ধর্ষন করেছির।আমার ভালবাসার মানুষের সামনে আমাকে ধর্ষণ করেছির ওর কত টা কষ্ট হচ্ছিলো তোরা জানিস।

আমাকে হায়েনার মতো আচড়ে পুরা শরীর রক্তাক্ত করে তুলেছিস।শরিরে ব্যাথার যন্ত্রনার আমি হাত পা ধরেছিলাম আমি আর সহ্য করতে পারছি না আমাকে মুক্তি দাও তোমরা।

তোরা উল্টা আরো নিলয় কে ছুরি দিয়ে কতবার আঘাত করে কুপিয়েছিস আমি পায়ে জড়িয়ে ধরে ছিলাম নিলয় এর প্রাণের জন্য তোরা বলেছিলি তুই তো ব্যাথা সহ্য করতে পারছিস না তাই নিলয় কে মারছি।

তখন আমি বলি আমার কোনো ব্যাথা নেই আমাকে তোমরা ভোগ করো যা ইচ্ছা করো নিলয় কে মেরো না।
কিন্তু তোরা আমাকে পর পর চার বার তিনজনে ধর্ষণ করে নিলয় কে কুপিয়ে হত্যা করিস।
আমি কত কাকুতি মিনতি করেছিলাম আমার প্রাণ ভিক্ষার জন্য কিন্তু তোরা আমাকে পানিতে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরেছির।

আমাকে মেরে বটগাছে নৌকা বেঁধে আমার মৃত লাশের সাথে আরো চার দিন ধর্ষন করেছির তোরা।

বলেই সাথি অটঠাসি দিয়ে বলে আরে মূর্খরা আমার মরার পর আমার শরীরে কে প্রবেশ করেছিলো জানিস।
তোরা কার সাথে শারিরিক মিলন করেছির জানিস।ধ্বংস হবি তোরা।

তোরা সেই ভয়ংকর রূপ কে জাগিয়ে তুলেছির।অনেক বছর আগে যে কাহিনী শুরু হয়েছিলো তোরা নতুন করে তার শুরু করেছির।অসমাপ্ত গল্পটা এবার শেষ হবে।তোরা মানুষের অনেক বড় বিশ্বাসঘাতক।
সিয়াম কে কয়েক টা আত্মা মিলে ছিড়ে খেলো

ওঝা এগুলা দেখে হতভম্ব হয়ে গেলো।ইশ মেয়েটাকে কত নির্মম ভাবেই না মেরেছে।আমার রকির কাছে গিয়ে সব শুনতে হবে তা না হলে এ গ্রামের একটা মানুষ ও বাঁচবে না।
ওঝা বাড়ি গিয়ে দেখে আসিফ এর অবস্হা খুব ই খারাপ।আসিফ কে চুল দিয়ে বেধে কে যেন টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছিলো ঠিক তখন ই চাঁদ মেঘে ঢেকে যায় তাই আসিফ কে ছেড়ে দেই।
কিন্তু আগামি পূর্ণিমাতে আসিফের শেষ দিন এটাও বলে গেছে সে মায়াবী ভয়ংকর আত্মা।

এখন ওঝা ভাবছে আমি রকির কাছে সব শোনার আগে এইদিকে আরো নতুন রহস্যর বেড়াজান।
সাথি কে না হয় রকি মেরেছে তার প্রতিশোধ নিচ্ছে কিন্ত রকির বোন কে কে মারলো।
আর সাথির ভাই কে বা মারলো কে?

ওঝা রকির কাছে গিয়ে বললো আমি সব জেনে গেছি।আমাকে সব খুলে বলো।
রকি বলে কি জেনে গেছেন।আমি কাউকে মারি নি।
ওঝা বলে আমি কি পুলিশ কে বলবো।
তখন রকি বলে খুব ভয়ংকর ছিলো ওই মরা দেহ।
এত নরম তুলতুলে দেহ আর বলেই চুপ রকি


#লেখাঃমৌসুমি