#পর্ব:৪
ওদের বিয়ের পর ঘটে সেই অশুভ ঘটনা। ওদের ভালবাসা কেউ ই মেনে নেই নি।
মাহিনের পরিবার জমিদার থাকায় তারা ক্ষমতা শালী থাকে।
মাহিন আর বৃন্দা কে রাজপ্রসাদে ধরে নেওয়া হয়।কিছু শর্ত দেওয়া হয় বৃন্দা কে যে শর্ত মেনে নিলে তারা মাহিনের বউ হিসাবে বৃন্দা কে মেনে নিবে।
![]() |
বিষকণ্যা |
ছলনা করে বৃন্দা কে মাহিনের জীবন থেকে তাড়ানোর জন্য বৃন্দাকে এক মাসের উপোস করতে বলা হয়।বৃন্দা জমিদার বাড়ির এক অন্ধকার রুমে উপোস করছিলো।
যাদের গল্প পড়তে ভাল লাগে আইডিতে ফলো দিন।
সেই সুযোগে বৃন্দার পুরো পরিবার কে খুন করে জমিদার রা।
আর বৃন্দার রুমে ছেড়ে দেই জমিদার দেএ বহু পুরনো সাপ।
বৃন্দার তপস্যা রুমে সেই সাপ ছেড়ে দিলে বৃন্দা কে ছোবল দেই সাপ।বৃন্দা মাহিনের নাম ধরে চিৎকার করে মাহিন বৃন্দার কাছে ছুটে গেলে দেখে বৃন্দা বিষ এ নীল হয়ে গেছে মাহিন বৃন্দা কে বাঁচানোর জন্য বৃন্দার শরীরের সব বিষ চুষে নিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়ে।
বৃন্দা তখন প্রতিজ্ঞা করে যে বিষাক্ত বিষের জন্য মাহিণের জীবন গেছে সেই বিষাক্ত বিষ থেকে মাহিন কে বাঁচিয়ে তুলবেই।মাহিনের তত সময় মৃত্যু হয়ে গেছে
বৃন্দা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে
মাহীন কে নিয়ে সে ওঝার কাছে যাওয়ার সময় হটাত এক ইচ্ছাধারী সাপের সাথে দেখা হয় তার সে বলে তোমাকে আমি ছোবল দিয়েছি।
আমাকে অনেক দিন জমিদার দের খাঁচায় আটকে রাখা হয় আমাকে শর্ত দেওয়া হয় একজন কে ছোবল দিলে আমাকে মুক্তি দিবে তাই আমি রাজি হয়।আমাকে মাফ করে দাও।
কিন্তু মাহিন এর বিষ কিছুতেই আর বের করা যাবে না।
বৃন্দা বলে আমি যেভাবেই হোক মাহিন কে বাঁচাতে চাই।
তখন ইচ্ছাধারী সাপ বলে তার জন্য অনেক কিছু করতে হবে তোমাকে কয়েক যুগ অপেক্ষা করতে হবে পারবে তো। বৃন্দা বলে হ্যা আমি সব পারবো।
তখন ইচ্ছাধারী সাপ বলে তাহলে চল আমার সাথে বলে একটা গাছের নিচে সর্প পুরিতে নিয়ে যায় সেখানে বিষাক্ত সর্প নাগ বলে তোমার স্বামি কে বাঁচাতে হলে তোমাকে মন্যষ্য জীবন ত্যাগ করে বিষাক্ত হতে হবে।২৫ বছর তপস্যা করে সাপের বিষ খেয়ে খেয়ে বিষকণ্যা হতে হবে।
তখন তোমার মাঝে চলে আসবে মায়াবী শক্তি আর পৃথিবীতে গিয়ে এক এক জনের আয়ু চুষে মাহীন কে দিয়ে দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে হবে।
আর অনিকের পায়ে যে চিহ্ন ওই চিন্হের একজন পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করবে তার রক্ত মাহিন কে দিলে মাহিন তোমার মতোই শক্তিশালী হয়ে বেঁচে উঠবে।
কিন্তু বৃন্দা কি সত্যি পারবে তার নিজের মেয়ের জীবন নিয়ে আগের জন্মের স্বামির প্রাণ বাঁচাতে।
লেখাঃমৌসুমি
0 comments:
Post a Comment