#আত্মার_ফেলে_আসা_ভালবাসা
#পর্বঃ১
প্রচন্ড গরমে শান্ত ছাদে গিয়ে হাওয়া খাচ্ছে।গরমে রাত কম করে হলেও ২ টা পর্যন্ত ও ছাদেই থাকে।বন্ধুদের সাথে ফেসবুকে আড্ডা দিয়ে প্রায় রাত পার করে দেই সে।
হটাত ছাদের এক কর্ণার থেকে বিশ্রি পঁচা গন্ধ আসছে।শান্ত যেন সেখানে ঠিকতেই পারছে না।এত বাজে গন্ধ।বাট কিসের গন্ধ এটা সে বুঝে উঠতে পারছে না।গন্ধতে শান্তর বমি হওয়ার অবস্হা।পঁচা মাছের গন্ধ আসছে খুব।সে ভাবছে মা কি মরা মাছ এ সাইডে ফেলেছে।গন্ধ টা আর কোথাও নেই ও যেদিকে যাচ্ছে সেদিক থেকেই গন্ধটা আসছে।হটাত ছাদের আরেক পাশ থেকে সুন্দর ফুলের ঘ্রান আসছে।বাহ শান্তর মন যেন শান্তি ফিরে এলো মন ভরে সে সুন্দর ফুলের ঘ্রাণ নিচ্ছিলো।
কিন্তু আশ্চর্য বিষয় এখানে এমন পঁচা গন্ধ আর ফুলের গন্ধ কিভাবে এলো।দুটোই অকল্পনীয়।
শান্তর ছাদের উপর বেশ বড় একটা কৃষ্ণচূড়ার গাছ।এই গাছ টা মাত্র কয়েক বছরে অনেক বড় হয়ে গেছে।
অদ্ভত ব্যাপার এই গাছে বারো মাস ই ফুল ফোটে।অন্য গাছের তুলনায় এ গাছের ফুল গুলো জীবন্ত আর সুন্দর বেশী।
হটাত ই শান্তর হাতে যেন কারো হাত পড়লো হাত টা এত নরম আর এত ঠান্ডা যেন ফ্রিজ থেকে বের করে আনা হয়েছে।শান্ত মোটেও ভাবে নি যে তার হাত কেউ ধরেছে তার কাছে মনে হয়েছে হয়তো কিছুর উপর হাত পড়েছে নইলে অন্য কিছু।শান্ত নিজের হাত টা সরিয়ে নিলো।
তখনি একটি আওয়াজ খুব স্লো আসছে আওয়াজ টা কিসের শান্ত ঠিক বুঝতে পারছে না।
তখন ই একটা মেয়ে কন্ঠ বলে ওঠে কি হলো হাত টা সরালে কেনো।শান্ত চমকে উঠে হাওয়ার মাঝে কে কথা বলছে তাউ একটা মেয়ে কন্ঠ।
মেয়েটি আবার বলে ওঠে আপনি রোজ রাতে ছাদে আসেন আর আমি পাহারা দেই আপনাকে যাতে কেউ আপনার কোনো ক্ষতি করতে না পারে।
এবার মেয়েটি বলে প্লিজ আমাকে আপনি ভয় পাবেন না।আমি মানুষ না আমি একটি আত্না।আমি আপনকে অনেক দিন ধরে দেখছি আর ভালবেসে ফেলেছি।
মানে শান্ত প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায়।
আবার ওই কন্ঠ বলে ওঠে আপনি আবার ভয় পাচ্ছেন আমাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।মেয়েটি এমন ভাবে কথা বলছে জ্বীন হোক আর আত্মা হোক ভয় পাওয়ার সিস্টেম নেই।শান্ত ফার্সট টাইম একটু ভয় পেলেও পরে বুঝে নিয়েছে এটা নিশ্চয় ওর বন্ধুদের দুষ্টুমি ও ভাবছে কি ব্যাপার আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এই পথ অবলম্বন তাইনা।
আচ্ছা ভয় দে আরো দে বলেই শান্ত হাহা করে হেসে যাচ্ছে।
এরই মাঝে গাছটা খুব জোরে হাওয়া দিচ্ছে।ঠিক যেন কেউ হাওয়া দিচ্ছে।শান্ত মোটেও ভয় পাচ্ছে না।
এর ই মাঝে ওই মায়াবী কন্ঠ বলে ওঠে শুনুন আপনাকে অনেক আত্মা ভয় দেখাবার চেষ্টা করবে কিন্তু আপনি কিছুতেই ভয় পাবেন না।ওই সময় আপনি আমাকে ডাকবেন আমি আপনার ভয় দূর করে দিবো।
শান্ত হাহাহাহাহ করে অট্ট হাসিতে ভেঙে পড়ে। ভাবছে তোরা যেই হোক জানিস তো আমার মনে কোনো ভয় নেই তাহলে কেনো এই বৃথা চেষ্টা তোদের।তখন ই মেয়ে কন্ঠ বলে ওঠে এভাবে বললে খারাপ আত্মা তোমাকে ভয় দিবে কিন্তু।
বলতে বলতে গাছের ডাল একটা ভেঙে ছাদে পড়াতে খুব চমকে যায় শান্ত।কি আশ্চর্য কি অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে আজ।
শান্ত দেখে সাদা কাপড় মুড়ি দিয়ে ভেঙে যাওয়া ডাল এর উপর বসে কেউ মট মট করে গাছের ডাল ভাঙছে।
এতক্ষনে শান্ত বুঝতে পারলো এটা তার কোনো বন্ধু নয় খারাপ কোনো আত্মা তা না হলে ছাদে বসে ওই অত্ত বড়কৃষ্ণ চূড়া গাছের ডাল কিভাবে ভাঙছে তার হাত টা এতই বড় শান্ত ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সেখানেই পড়ে যায়।
গল্পটি আগেই আমার ওয়েব সাইট এ পোস্ট করা তাই কেউ কপি করলে কপি রাইট খাবেন।
বেহুঁশ অবস্হায় কেউ তাকে ছাদ থেকে রুমে নিয়ে গেলো।খুব ভোরে শান্তর ঘুম ভাঙলে সে দেখে সে নিজের বিছানাতেই আছে।
কিন্ত কি অদ্ভুত আমি তো ছাদে ছিলাম।হটাত ওর মনে পড়ে কাল রাতের সেই ভয়ংকর আত্মার কথা।আরেক টু হলে আমার প্রাণ ই চলে যাচ্ছিলো বাবাহ।
কিন্তু ঘুমের মাঝে আমার শান্তর একটু স্পষ্ট মনে আছে।কেউ একজন তার কানে কানে বলছিলো আগেই বলেছিলাম এখানে খারাপ আত্মা আছে কিন্তু আমার কাছে শুনলেন না।ওমনি ভয় পেয়ে গেলেন তো।
খুব ঠান্ডা আর নরম তুলতুলে শরীরের কোনো মেয়ে আমাকে কোলে নিয়ে আমার ঘরে নিয়ে আসে।খুব যত্ন করে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো।সারারাত আমার সেবা যত্ন করেছিলো।ইশ কতই না যত্নে কেটেছে সারাটা রাত।কিন্তু ওই আত্মা টা সে কি চাই।
ভাবতে ভাবতে শান্ত এর মায়ের ডাক।এই ছেলেটা সারারাত ছাদে গিয়ে আড্ডা দিবে আর বেলা ১২ টা পর্যন্ত পড়ে পড়ে ঘুমায়।আজ থেকে তোর খাওয়া বন্ধ।সকালে উঠে একটু হাওয়া লাগালেও তো শরীর টা ভাল থাকে।
মায়ের রোজ এর ঝগড়া টা শান্তর শুনতে হয়।
শান্তদের বাড়িতে আগে থেকেই অনেক ভাড়াটিয়া থাকে আজ নতুন দুইটা মেয়ে এসছে তারা পাশের কলেজেই পড়ে।
শান্তদের বাড়িতেই মেয়ে দুটি থাকবে অন্য ভাড়া টিয়াদের মতো।
বিকাল বেলা মেয়ে দুটি হাজির।
তারপর যা ঘটে।
#লেখাঃমৌসুমি
0 comments:
Post a Comment