#পর্বঃ৫
নাগেদের সাহায্য বৃন্দা একজন সহজ সরল মেয়ে থেকে হয়ে উঠে বিষাক্ত বিষকণ্যা।প্রত্যক সাপেরা তাদের বিষের অর্ধেক করে দিয়ে বৃন্দাকে করে তুলে মহা বিষাক্ত।
বৃন্দার মনে প্রতিশোধ এর বিষাক্ত আগুনে ভরব থাকে।
বৃন্দা জমিদার বংশ ধ্বংস করে দেই।
![]() |
বিষকণ্যা |
অনিক রা সাধুর কাছ থেকে বাসায় ফিরে আসে সেদিন
নিজের মেয়েকে কিভাবে বাঁচাবে সেই দুঃচিন্তায় অনিক পাগল হয়ে উঠেছে।অনিক ভাবে মেয়েকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাবে।
কিন্তু বৃন্দা তো মায়াবীনী যেখানেই যাবে খুজে বের করে ফেলবে।
বাড়ি ফিরে দেখে পরী বাসায় নেই। কাজের মেয়েটা বলে পরী ভাবির সাথে বাইরে খেতে গেছে অনিক আর তার মা বাবা কান্নায় ভেঙে পড়ে আজ হয়তো পরীকে মেরে ফেলবে বৃন্দা।
কিন্তু কিছু সময় পরেই পিছন থেকে কে যেন ডেকে ওঠে বাবা বাবা কাঁদছো কেনো।
কি হয়েছে তোমার
অনিক পিছন ফিরে দেখে তার ই মেয়ে পরী।
আর বৃন্দা পিছনে দাড়িয়ে আছে আর বলছে অনিক পরী ওর মায়ের সাথে গেছিলো এটা নিয়ে চিন্তা কিসের।
অনিক বলে না বৃন্দা তুমি আমার মেয়ের কাছে আসবে না।দূরে সরে যাও।
বৃন্দা ভাবে অনিক কি সব বুঝতে পেরে গেছে।
আজ পরীর ১২ বছর পূর্ণ হয়ে গেছে আজ বৃন্দা পরীকে মারবে বলে ভাবে।
পরীকে নিয়ে একটি জঙ্গলের দিকে যায় আর বলে আচ্ছা পরী ভয় লাগছে না আমার সাথে যাচ্ছো।
পরী বলে না মা ভয় কিসের।মায়ের চেয়ে কি কেউ বেশী ভালবাসতে পারে।
বৃন্দা তখনি পরীকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।
পরীর কোনোও ক্ষতি করে না।
এইদিকে অনিক বৃন্দাকে বলে বৃন্দা তোমার যা ক্ষতি করার করো আমাকে মারো আমার মেয়েকে ছেড়ে দাও।
বৃন্দা বলে আমার কাছে কোনো সম্পর্কের কোনো মূল্য নেই।তোমরা সবাই সেই পাপীর বংশ সবাই এক রকম।
আমার কাছে ভালবাসা মানেই আমার আগের জন্মের স্বামি মাহিন।যে নিজের জীবন দিয়ে আমাকে বাঁচিয়েছিলো তাই আমার ও একটাই উদ্দেশ্য মাহিনের জীবন ফিরিয়ে দেওয়া।
পরীকে বার বার মারার সুযোগ পেয়েও বৃন্দা মারে নি।অনিকের মনে বেশ সন্দেহ জাগে বৃন্দা তো চাইলেই পরীকে মারতে পারে কিন্তু মারলো না কেনো?
বৃন্দা একদিন নাগকূলে যায় আর সেখানে গিয়ে জানতে পারে মাহিন কোনদিন আর বেঁচে উঠবে না।
নাগেরা চেয়েছিলো মানুষের রূপ নিয়ে পৃথিবীতে রাজত্ব করতে।
তাই তারা অনেক সময় অনেক ধরনের ছলনার আশ্রয় নিয়ে জমিদার দের ক্ষতি করে।
মাহিনের মৃত্যুর কারণ ও এই নাগেরা।
মাহিনের মা বাবা বৃন্দা আর মাহিনের ভালবাসা মেনে নিয়েছিলো।
বৃন্দা আর মাহিনের দীর্ঘআয়ু কামনার জন্য তারা বৃন্দা কে এক মাস লোক চক্ষুর আড়ালে থাকতে বলেন।মাহিনের সাথে মেলামেশা না করার জন্য।
কিন্তু এই নাগকূলের নাগরাজ নাগরাণীরা সেই সুযোগে বৃন্দার মা বাবাকে খুন করে।
অন্ধকার রুমে গিয়ে বৃন্দাকেও তাদের একটি সাপ ছোবল দেই।
আর এই নাগেরা জানতো বৃন্দাকে বাঁচাতে মাহিন ওর বিষ তুলে নিবেই।
আর সেই সুযোগে বৃন্দাকে তারা কাজে লাগাই।নাগেদের প্লান মতোই বৃন্দাকা বাঁচাতে মাহিন নিজের জীবন ত্যাগ করে।
আর বৃন্দাকে ব্যাবহার করে তাদের কাজে লাগানোর জন্য জমিদার দের শত্রু বানায় বৃন্দাকে।
বৃন্দাকে কাজে লাগানোর অনেক বড় উদ্দেশ্য ছিলো নাগেদের।কারণ বৃন্দাই ছিলো সেই মেয়ে যার মাধ্যমে,,,,,,,
বাকি গল্প পড়তে আইডিতে ফলো দিন।যারা গল্প পড়তে ভালবাসেন।
#লেখাঃমৌসুমি
0 comments:
Post a Comment