#পর্বঃ৪
অহনা আর মায়া শপিং যাবে আমাকে খুব করে ধরেছে তাদের সাথে আমাকেও যেতে হবে।
আমার রুম ছেড়ে কোথাও আমার যেতে ইচ্ছা করে না।কারণ আমার আত্মা প্রেমিকা টি ভীষণ কষ্ট পাই আর আমিও এখন তাকে খুব ই ভালবাসি।
যেহেতু অহনা বায়না করছে তাই না গিয়ে আর পারলাম না।ওদের সাথে শপিং করছি উফফ মেয়ে মানুষ সো বোরিং।শপিং করেই যাচ্ছে একটা জিনিস পছন্দ করতে তাদের দিন কেটে যাচ্ছে।আমার ভীষণ বিরক্তি লাগছে।
খেয়াল করলাম বাইরে থেকে বৃদ্ধ একটা লোক মায়া আর অহনা কে চোখ বড় বড় করে দেখেই যাচ্ছে।আমি ভাবছিলাম লোকটা অহনার রূপ দেখে খারাপ নজর দিচ্ছে।
আমিও এগিয়ে গিয়ে বললাম আচ্ছা আপনি কি দেখছেন।লোক টা যেন ভয়ে কাঁপছে তেমন একটা ভাব।আমি বললাম আপনাকে কি পুলিশে দিবো এভাবে ইভটিজিং এর জন্য।
তখন লোক টি আমার হাত ধরে হেঁচকা টান দিয়ে দোতলায় নিয়ে যায়। আমি বললাম ছাড়েন পাগল নাকি।কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।
লোকটি আমাকে বলে ওই যে ওই মেয়েটি তোমার কে হয়।লোকটি উপর থেকে মায়া কে দেখালো।আমি বললাম আমার বন্ধু হয় আমার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
তখন ওই লোকটি বলে এই মেয়েটা বেঁচে আছে কিভাবে?
আমি বললাম মানে!
![]() |
আত্মার ফেলে আসা ভালবাসা |
তখন লোকটা বলে এই মেয়েটা আজ থেকে পাঁচ বছর আগে গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে।
আমি ততক্ষণে বুঝতে পারলাম এটা শিওর কোনো মেন্টাল।
পাগল না হলে এমন অদ্ভুত কথা কেউ বলে নাকি।
লোকটিকে হেসে বললাম আপমি বাসায় যান।আপনি অন্য কারো সাথে ওকে গুলিয়ে ফেলছেন।ও আমাদের বাড়িতে ছয় মাস মতো আছে।
তখন লোকটি বলে আমার চোখ কি ভুল দেখছে বাবা।এই মেয়েটি পাঁচ বছর আগে মারা গেছিলো।আর এই মেয়ে মারা যাওয়ার পর অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিলো।খুব ভয়ংকর ছিলো সে ঘটনা।ওই মেয়ে মারা যাওয়ার পর পুরা এলাকা ভয়ে কাঁপতো।রোজ রাতে সে হেঁটে বেড়াতো সাদা জামা পরে।রোজ রাতে কেউ না কেউ দেখতে পেতো তাকে।তবে কাউকে মারতো না সে।
আমার লোকটি কে পাগল মনে হলেও আবার ভাবছিলাম এই মায়া সত্যি আত্মাদের মতো ভাব তার।দিনের বেলা তার দেখাই পাই না।রোজ রাতে একা একা ছাদে দাঁড়িয়ে থাকে সে।
লোকটি আবার বলে বসে মেয়েটি কে আমি ভাল করেই চিনি।ও গলাই দঁড়ি দিয়েছিলো একটি অজানা কারণে।যা কেউ যানে না।
আমি লোকটি কে বললাম আচ্ছা মেয়েটির এলাকায় আমাকে নিয়ে যেতে পারবেন।লোকটি বলে হ্যাঁ।লোকটি যে লোকেশন দিয়েছে আমার হটাত বুক কেঁপে উঠলো খুব চেনা লাগলো জায়গা টা।
কে যেন তাকে যেতে বলেছিলো তার ঠিক খেয়াল নেই।
দেখি মায়া কে ভাল ভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে।।
আমি এখন আত্মা ও বিলিভ করি কারণ একটি মায়াবী আত্মাকে আমি ভালবাসি।
বলতে বলতে মৌ কি আমাকেই ভাবছিলে তো?
আমি বললাম তুমি এখানে।
সে বলে বারে দুইটা মেয়ের সাথে এলে আর আমি চেক দিবো না তাই কখনো হয়।
আমি তখন তাকে বলি তোমার কি লাগবে বলো সে আমাকে বলে আমি তো আর মানুষ না যে এসব পরতে পারবো।
খুব আফসোস হয় কেনো আজ আমি মানুষের মতো জীবন যাপন করতে পারি না।তোমাকে এভাবে কাছে থেকে পেয়েও আজ আমি দূরে।একটা ভুল আমি আজ ভোগ করছি অশান্তি।
আমি অহনা আর মায়া কে নিয়ে বাসায় ঢুকলে পাশের বাসার আন্টি দেখি আমার মায়ের সাথে গল্প করছে আমাদের দেখেই আন্টি খুব ভয় পেয়ে যায়।
আমি বেশ বুঝতে পারলাম যে আমাকে দেখে নয় মায়া আর অহনা কে দেখে। তাহলে কি মায়া সত্যি কোনো আত্মা।
আন্টির চোখে মুখে আমি ভয় দেখতে পেলাম।
ওরা দুজন উপরে গেলে আমি আন্টি কে বলি আন্টি কি হয়েছে তখন আন্টি বলে তোমার সাথে যে মেয়ে দুইটা দেখলাম বাবা ওরা কারা।
আমার মা বললো আমার ভাড়াটিয়া।
তখন ই আন্টি অহনার বর্ণনা দিয়ে বলে ওই মেয়েটি তো মারা গেছে চার বছর আগে গলাই দড়ি দিয়ে।।
আমার মা বলে তোমার কিছু ভুল হচ্ছে। অন্য কারো সাথে গুলিয়ে ফেলছো।মরা মানুষ আমার বাসায় কি ভাবে আসবে।
তখন আন্টি বলে ওই মেয়েটি মারা গেলে সে এলাকার অনেক মানুষের প্রাণ গেছে।রোজ রাতে কাউকে না কাউকে মেরেছে সে।
আমার কাছে ব্যাপার টা খুব রহস্য জনক লাগছে।
আজ শপিং এ একজন বললো মায়া মৃত।এখন আন্টি বলছে অহনা ও মৃত।
বিষয় টা এবার আমাকে ভাবাচ্ছে খুব।
এর ই মাঝে খুব চেনা একটা পারফিউম এর ঘ্রাণ পাই আমি।
কাল থেকে নিয়মিত গল্প দিতে পারবো কারণ কারেন্ট এসেছে🤗
#লেখাঃমৌসুমি
সে খুব ই কষ্ট প্রকাশ করতো আমার কাছে।
আমি একটা অন্য জগতে প্রবেশ করে ফেলছিলাম নিজের অজান্তেই।
তারপর আমার সাথে ঘটে যায় অদ্ভুত কাহিনী যেটা আমার কল্পনার বাইরে ছিলো।
#লেখাঃমৌসুমি
0 comments:
Post a Comment