#বিষকণ্যা
#পর্বঃ১
আজ অনিক এর বিয়ে। খুব ধুম ধাম আকারে অনিকের বিয়েটা হলো।অনিকের স্ত্রীর নাম বৃন্দা।শহরের সব থেকে সুন্দরী মেয়েই হলো বৃন্দা।
অনিকের স্ত্রী কেনোই বা সেরা সুন্দরী হবে না।
আসুন অনিকের পরিচয় দেই।অনিক খুব কম বয়সে ব্যবসায়ে সফল হয় বিশ্বের সেরা ১০ জন কোটি পতির মাঝে অনিক অন্যতম।জন্মসূত্রে অনিক খুব ধনী পরিবারে জন্মগ্রহন করে।
যাদের গল্প পড়তে ভাল লাগে আইডি তে ফলো দিন।
বিয়ের দিনেই বাড়িতে একটা অশুভ ঘটনা ঘটে।অনিকের ছোট ভাই সবার চোখের সামনে ধীরে ধীরে বয়স্ক হয়ে যায়।মাত্র কয়েক সেকেন্ড এ তার আয়ু বেড়ে একজন বৃদ্ধতে পরিণত হয়ে যায় সে এবং তার মৃত্যু ও ঘটে।
এ কেমন মৃত্যু।মাত্র ২৫ বছর বয়স তার।২৫ থেকে একবারে ১০০ বছরর বয়স হয়ে গেলো কিভাবে।
এমন ঘটনা কেউ আগে দেখেছে কিনা সন্দেহ।অনিকের ভাই এর মৃত্যুর সাথে সাথে তার মায়ে বিভ্রট একটি ট্যাটু দেখা যায়।
বিয়ে বাড়ির সব আত্মীয় রা ভয়ে পালায়।সবাই ভাবে অশুভ কিছু আছে অনিক দের বাড়ি।
এই ঘটনার কোনো সমাধান তারা খুজে পাই নি।
ডাক্তার যে এর কোনো সমাধান দিতে পারবেন না সেটা তারা নিজেরাই বুঝতে পারেন।
তাই অনিকের পরিবার বিপদ থেকে বাঁচার জন্য আর তার ভাই এর মৃত্যুর রহস্য জানতে একজন সাধুর কাছে যান।
তিনি বলেন তাদের উপর অশুভ শক্তির প্রভাব পড়েছে।১০০ বছর পূর্বে এক বিষ কণ্যার নজর পড়ে তাদের পরিবারে।সে ছিলো মায়াবিনী। অসীম ক্ষমতার অধিকারী।সে ফিরে এসেছে।
অনিকের বাবা মা আগ্রহের সাথে জানতে চান কিন্তু কেনো সাধু বাবা আমাদের সাথে কি শত্রুতা।
সাধু বাবা বলেন আজ আর কিছুই বলতে পারবো না।তোমরা যাও আমি ধ্যানে বসবো।
আমি নিজেই যাবো তোমাদের বাড়ি।
অনিকরা বাড়ি ফেরার পথে দেখে তার ভাই এর কবর খোড়া ভিতরে তার ভাই নেই।আরেকটা নতুন রহস্যর জালে আটকে পড়ে তারা।
একটার পর একটা রহস্যর মায়া জাল অনিকের পরিবারের সব সুখ শান্তি ধ্বংসের পথে।
হটাত কিছুদিন পরে বৃন্দা জানায় সে মা হতে চলেছে।পরিবারের সবাই খুব ই হ্যাপি।এত দিনের অশান্তির কথা ভুলে গেলো সবাই পরিবারের নতুন অতিথি আসার আনন্দে মেতে উঠেছে সবাই।
আজ বৃন্দার ডেলিভারির দিন।হসপিটালে ফুটফুটে মেয়ে শিশুর জন্ম দেই সে।
ডাক্তার বলেন বৃন্দার মেয়ের পায়ের তলায় অদ্ভুত একটা ট্যাটু।
ডাক্তার বাবু অনিক কে ডেকে বলেন আপনার মেয়ের পায়ের তলায় জন্মচিহ্ন আছে একটা দেখুন। মনে হচ্ছে মাত্র ট্যাটু আকা।
অনিক ট্যাটু টা দেখে চমকে ওঠে।এটা তো সেই ভয়ংকর ট্যাটু যেটা আমার ভাই এর মৃত্যুর সময় তার পায়ে দেখেছিলাম।
আমার ভাই এর মৃত্যুর সময় তো আমার মেয়ে এ পৃথিবীর আলো ই দেখে নি তাহলে কিভাবে ওই ঘটনার সাথে আমার মেয়ে জড়িত হবে।
কি যোগসূত্র আছে ওই ঘটনার সাথে আমার মেয়ের সেটা জানতেই হবে।বৃন্দা আর তার মেয়েকে নিয়ে অনিক বাসায় ফিরে।মেয়েটা দেখতে খুব মিষ্টি হয়েছে মায়ের মতো। ওর নাম আমরা রাখি পরী।
দেখতে দেখতে মেয়ের বয়স ৬ মাস হয়ে গেলো।আজ হটাত ই মেয়েটা অসুস্থ। তার শরীর নীল হয়ে এসছে।বৃন্দা খুব কান্নাকাটি করছে কি হলো আমার মেয়ের।
দ্রুত মেয়েকে নিয়ে ডাক্তার এর কাছে গেলে ডাক্তার বলে ওর মায়ের বুকের দুধের সাথে বিষ মেশানো ছিলো।আরেক টু হলে আপনার মেয়ে বাঁচতো না।
অনিক কথাটা শুনে বৃন্দা কে ডাক দেই কিন্তু বৃন্দা মেয়ের কাছে নেই।মেয়ের মর মর অবস্হায় অনিক বৃন্দা কে খুজতে গিয়ে দেখে বৃন্দা একটি বাগানে ঢুকছে।বাগানে ঢুকে একটি গাছের নিচে চলে গেলো।
কিন্তু বৃন্দা অনিক যে রুপে দেখলো,,,,
লেখাঃমৌসুমি
0 comments:
Post a Comment