https://www.videosprofitnetwork.com/watch.xml?key=8cf0b61af69080e05fa4a951cb6774cb পূর্ণিমা রাতে ভয়ংকর রুপে সে জেগে ওঠে ~ Mou Er Golpo

Its Mou Er Golpo Website http://feeds.feedburner.com/MouErGolpo

Monday, June 15, 2020

পূর্ণিমা রাতে ভয়ংকর রুপে সে জেগে ওঠে

#পূর্ণিমা_রাতে_ভয়ংকর_রূপে_সে_জেগে_ওঠে
#পর্বঃ২
নৌকার খোলে মাছের কাটা চেলে দিছে।আর একটা মাছ ও নেই।এ কি এত মাছ ধরলাম একটা মাছ ও নেই মাছ গুলা কই গেলো।মনির নামের লোক টি বলে ভাই ওই মহিলা ছলনা দিয়ে আমাদের মাছ গুলো নিয়ে গেছে।
 পূর্ণিমা রাতে ভয়ংকর রুপে সে জেগে ওঠে
 পূর্ণিমা রাতে ভয়ংকর রুপে সে জেগে ওঠে 
যাদের গল্প পড়তে ভাল লাগে আইডিতে ফলো দিন
চলো আমরা ওর পিছনে যায় আর মাছ গুলো নিয়ে আসি।যতই জোরে নৌকা চালাচ্ছে মহিলাকে তারা ধরতেই পারছে না।সারাবিল তাদের ঘুরাচ্ছে।মহিলাকে তাড়া করতে করতে কখন যে তারা বটগাছের নিচে চলে এসছে বুঝতে পারে নি।

এই বটগাছের নিচে এসেই তারা ভয় পেয়ে গেলো।এখানে দিনের বেলাও কেউ আসে না।সব খারাপ আত্মাদের বসবাস এখানে।কত মানুষের লাশ যে এই বটগাছের নিচে পাওয়া গেছে তার শেষ নেই।

রকির বাবা খুব ই ভয় পেয়ে গেলো সাথে মনির ও।তারা একটার পর একটা সিগারেট ধরাচ্ছে আর নৌকা ঘুরানোর চেষ্টা করছে কিন্তু নৌকা কিছুতেই নড়ছেনা।

হটাত রকির বাবার মুখে কিছু একটা পড়লো রকির বাবা হাত দিয়ে ধরে দেখে কোনো মহিলার চুল।উপর দিকে তাকাতেই দেখে সেই মহিলা বট গাছের উপরে বসে মাছ খাচ্ছে আর তার ইয়া লম্বা লম্বা চুল ছেড়ে দিছে যা তাদের মুখের উপর এসে পড়েছে।

রকির বাবা আর মনির ভয় পেয়ে যান তারা দুজন ই আল্লাহর নাম ঝাপছে আর শুনেছে আগুনের কিছু খারাপ কিছু আসতে পারে না তাই সিগারেট ধরিয়েই যাচ্ছে।

নৌকাটা কোনো ভাবে ঘুরিয়ে তারা মাঝ নদীতে আসে আবার ও তাদের সামনে সেই মহিলা পানিতে কল কল শব্দ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর তার অট্ট হাসিতে সারা বিল কাঁপছে।

সেই মহিলা বলে ওঠে তোদের আজ ইচ্ছা করেই কিছু বলি নি এইদিকে যদি আর আসিস আস্ত চিবিয়ে খাবো।

এর মাঝেই মনির নামের সেই লোকটি বেহুশ হয়ে গেছে পুরা বিলে এখন কেউ নেই রকির বাবা কাঁপো কাঁপো কন্ঠে মানুষ ডাকছে কাউকে না পেয়ে একাই মনির কে নিয়ে বাড়িতে আসেন।

পরের দিন মনিরের হুঁশ ফিরলেও সে আর স্বাভাবিক হতে পারে নি।এতটাই ভয় পেয়েছে তার সব আচরণ অস্বাভাবিক হয়ে গেছে।
সেদিন সন্ধায় এক পুলিশের লাশ পাওয়া গেছে ঘেরের পাড়ে।গ্রামে যে মেয়েটি খুন হয়েছে তাদের ঘেরের পাড়ে একজন গোয়েন্দা পুলিশ কে খুন করা হয়েছে।

তাহলে কি সাথির আত্মা এগুলো করে বেড়াচ্ছে।

সাথি এ গ্রামের ই মেয়ে।রকিদের পাশের বাসার মেয়ে সাথি।রকির বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিলো।সাথি একটি ছেলের সাথে রিলেশন করে সেও এই গ্রামের ই।রকি ওদের সব সময় সাহায্য করতো।সাথির যে ছেলেটির সাথে রিলেশন ছিলো ছেলেটি হয়তো সাথীকে ভালবাসতো না তাইতো সাথিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার নাম করে সাথির দেহ ভোগ করে মেরে নদীতে ফেলে দিয়ে চলে গেছে। আর নিজে এ গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।

সাথির মৃত্যুতে রকি সব থেকে বেশী কষ্ট পেয়েছে কারণ কত সময় কাটিয়েছে এক সাথে তার ঠিক নেই।

সাথির মৃত্যুর পর থেকে পূর্ণিমা রাতে এ গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।ভয়ংকর রূপে সে এ গ্রাম দিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

সারা গ্রাম এ এক মায়াবী হাসি ছড়িয়ে পড়ে।প্রত্যক কে ভয় দেই কিন্তু কাউকে মারে নি।

গত পরশু একজন মারা গেছে ভয়ংকর ভাবে। রকি সেজে তাকে ডেকে নেওয়া হয়।ছেলেটির নাম সাজু।সে রকির বন্ধু।রকি তাকে সিক্রেট কিছু বলতে চাই বলে ডেকে নিয়ে যায়

বিলের মাঝে পূর্ণিমা রাতে তাকে নিয়ে যায়।কিন্তু সেটা রকি ছিলো না।হটাত ই রকির চুল গুলো বড় হতে থাকে নখ গুলো বড় হয়ে যায় দেখতে দেখতে সে একটা ভয়ংকর মহিলা তে পরিণত হয়ে যায়
সাজু রকির এ বিভৎস রুপ দেখেই বেহুশ হয়ে যায়।
সেই বিভৎস মহিলা তাকে তার বডি থেকে হাত ছিড়ে ফেলে পা আলাদা করে বিলের পানিতে চারদিকে ফেলে দেই।
এ পুরা ঘটনা নাকি পুলিশ অফিসার দেখে নেই তাই তাকেও খুন করা হয়।

গ্রামে আরো কয়েক গাড়ি পুলিশ এলো।সারারাত পুরো গ্রামে পুলিশের তল্লাসী চলে।বিলের পাড় দিয়ে পুলিশ থাকে।

কিন্তু এই বিলের মাঝে কি রহস্য আছে যার কারণে সব ঘটনা আর খুন গুলো এই বিলের মাঝেই হয়।

কোন মায়াবী আত্মার কাহিনী আছে এই বিলে। আর সেই কিসের ই বা প্রতিশোধ নিচ্ছে। অনেক বড় বড় রহস্য জড়িয়ে আছে এই গ্রাম আর বিল নিয়ে।

তার বেশ কয়েক দিন পরে রকির বোন রিয়াকে সন্ধার পর থেকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।কোথাই গেলো রিয়া।
ওই আশুভ আত্মা টা রিয়ার কিছু করলো নাতো।

কিন্তু না ওই আত্মাটা মহিলা তাই সে মেয়ে মহিলাদের কিছু করে না।শুধু পুরুষদের ই মারে।এটা গ্রামের মানুষের ধারণা।

গ্রামের মানুষ সেদিন ও মাছ ধরতে গেছে।
হটাত ই গ্রামের কয়েকজনের নৌকা আটকে গেলো।কি যেন একটা আটকে গেছে নৌকাতে।সবাই মিলে নৌকা টা সরিয়ে দেখে রিয়া লাশ।

এ কি তাজা রক্ত এখনো ঝরছে। সেই আত্মা এবার থেকে গ্রামের মেয়েদের ও মারা শুরু করেছে।সাথেই সাথেই পুলিশ সেখানে পৌছে যায়।

রিয়ার লাশ টা নিয়ে পোস্টমর্টেম করতে দেই।সব কিছুই যেন রহস্য ঘেরা। এ রহস্য থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে গ্রামের মানুষ কিছুই বুঝতে পারছে না।

হুট হাট একেক জন মারা যাচ্ছে কাকে কি উদ্দেশ্য ওই আত্মা মারছে সেটা সবার ই আজানা।

গ্রামের এ ঘটনা গুলো পত্রিকায় তুলে দেওয়া হয়।পত্রিকার নিউজ দেখে এক ওঝা আসে এ গ্রামে।
সে কোনো আত্মা কে ভয় পাইনা।যত খারাপ আত্মা ই হোক না কেনো।সব তার কাছে বন্দী।

বিল থেকে কি যেন একটা পচা গন্ধ আসছে। সারা গ্রামে সেই দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। কিসের গন্ধ কেউ বুঝছে না।

বিলের পাড়ে মানুষ এর ভীড়।কি পচেছে সেটা দেখার জন্য। একটা লাশ ভেসে আসছে লাশটা উপুড় করে সুয়ে আছে।

লাশটা উল্টিয়ে দেখার সাথেই দেখা যায় সাথির সেই প্রেমিক এর লাশ।
এ কি যাকে ধরার জন্য গ্রামে এত পুলিশ সে নিজেই মৃত।

তাহলে কে মারলো সাথীকে।রকির বোনের মৃত্যুর কারণ ই বা কি কারণ। সব টাই অনেক বড় রহস্য।

#লেখাঃমৌসুমি
Share:

0 comments:

Post a Comment

Definition List

Unordered List

Support