https://www.videosprofitnetwork.com/watch.xml?key=8cf0b61af69080e05fa4a951cb6774cb একাত্ম ভালবাসা ~ Mou Er Golpo

Its Mou Er Golpo Website http://feeds.feedburner.com/MouErGolpo

Saturday, July 4, 2020

একাত্ম ভালবাসা

🍁
শান্ত ভাইয়া আমাকে চুপ করিয়ে দিলেও আমার মাথা থেকে জুতার ভুত টা কিন্তু গেলো না।শান্ত ভাইয়া মাথায় আলতো করে একটা চড় মেরে বললো হইছে ভাবুক বুড়ি আর ভাবতে হবে না।
আরে ভাই পরশ কিছু মনে করিস না ওই পিচ্চি মেয়ে তো এখনো ছেলে মানুষি যায় নি ওর।পরশ শান্ত কে পাশের রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলে মেয়ে টা কে রে? তোর ফেসবুক কভারে না দেখতাম মেয়েটাকে
আমি অবাক হলাম আমার ছবি শান্ত ভাইয়ার ফেসবুক কভারে মানে।শান্ত ভাইয়ার তো প্রেমিকা আছে আমার ছবি কভারে দিবে কেনো? দেখি কি বলাবলি করছে ওরা আমি আড়ি পাতলাম।
শান্ত ভাইয়া বলে হ্যাঁ আমি প্রথম বার ওর আইডি টা দেখেই ক্রাশ খেয়েছিলাম।আইডি টা বার বার আমার সামনে আসতো।রিকুয়েষ্ট দিয়েছিলাম আজ ও ঝুলেই আছি আমি।এক্সেপ্ট করে নাই ফলোয়ার হয়ে আছি আজ ও তার। রোজ আপলোড করা পিক গুলা দেখতাম আর সেভ করতাম।আর বুঝতে পারতাম মেয়েটা এরিয়ার মাঝেই হবে নইলে আইডি টা বার বার চোখের সামনে আসে কেনো।ফেসবুকে এক বছর ওর ফলোয়ার হওয়ার পরে খেয়াল করি আমার ফুফাতো বোন ফুফা অন্যান্য রিলেটিভ ওর মিউচুয়াল।তখন আমি বুঝতে পারি যে আমার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে বলেই ওর আইডি আমার সামনে আসে।অনেক বার ভেবেছি ফুফা বা ফুফাতো বোন কে প্রশ্ন করবো মেয়েটাকে বাট লজ্জায় বলি নি কারণ ওরা ভাববে আমি সুন্দরী মেয়ে দেখে প্রেম করার জন্য খোজ খবর নিচ্ছি।
,
,আমি রোজ ওকে নিয়ে কবিতা লিখতাম নিজের মতো করে আমার ডায়রি তে।আমি জানতাম বাস্তব জীবনে ওই মেয়ে কে আমি পাবো না কারণ বিদেশ থাকে আমাকে পাত্তাই দিবে না।একটা সময় মন আর তর সইলো না আমি ঢাকায় ফুফি বাড়ি গেলাম শুধু মাত্র তাদের ফ্রেন্ড লিস্টের ওই মেয়েটা কে সেটা জানার জন্য।প্রথম দিন ফুফি বাড়ি গিয়ে ফুফাতো বোন কে কিভাবে প্রশ্ন টা করবো বুঝছিলাম না।শুধু অপেক্ষা করছিলাম নিউজ ফিডে থাকতে থাকতে কখন ওর আইডির কিছু একটা সামনে আসবে আর আমি প্রশ্ন করবো যে মেয়েটা কে?শুধু এতটুক কারণে আমি ঢাকায় ছুটে গেছিলাম ফাইনাল এক্সাম রেখে।
,
,
আমার অপেক্ষার প্রহর এক সময় সার্থক হলো হটাত ও একটা ছবি আপলোড করে ব্লাক ড্রেস পরে তখনি মৌ এর বড় বোন নিসু আপু বলে এই শান্ত দেখ আমার পুচকু টা কত বড় হয়েছে। আজ আবার নিউ ছবি পোস্ট দিয়েছে।আমি বলছিলাম পুচকু টা মানে।নিসু আপু বলে আরে তুই ভুলে গেলি ছোট বেলা যে তোর ঘোড়ায় উঠতো,, মানে কার কথা মৌ এর কথা বলছো।নিসু আপু বলে হ্যাঁ মৌ।
একাত্ম ভালবাসা
একাত্ম ভালবাসা

আমি আসলে তখন জানতাম না যে আমি যার খোঁজ করতে গেছি নিসু আপু ঠিক তার কথায় বলছে।
আমি অতটা আগ্রহ জানালাম না বললাম আরে মৌ এখন বিদেশী ম্যাম।গ্রাম্য এসব মামাতো ভাই কে কি আর তার মনে আছে আমি দেখে আর কি করবো।এমনি মেয়েরা ছেলেদের পাত্তা দেই না। আর সে এখন বিদেশি। নিসু আপু বলে ধুর পাগল মৌ এর সাথে কথা হলে বুঝবি না সে বিদেশী। আরে দেখ না এক প্রকার জোর করে নিসু আপু আমার সামনে ওর ছবি টা ধরলো। আমার বুক কেঁপে উঠলো আহ এইটা মৌ আমাদের মৌ।আমাকে এতটা এক্সাইটেড দেখে নিসু আপু বলে কিরে প্রথমে তো দেখবি না আর এখন এভাবে হা করে আসিছ কেনো রে। আমি বললাম না মানে ও এত কিউট হলো কবে রে আপু।
,
,
যাকে আমি বিগত এক বছর ধরে ভালবাসি সে আমার ফুফাতো বোন।আর আমি জানতেই পারলাম না।আমি তখন জানতাম না মৌ এর মন মানসিকতা কেমন হবে।ভাবতাম হিংসুটে বা দেমাগি হবে।তবুও মনে একটু শান্তি এলো যাক একদিন হলেও দেখা তো হবে।
,
,
আমি তারপর এক মাস থেকে গেলাম শুধু মাত্র মৌ এর গল্প শোনার জন্য।সারাদিন ওখানে কি করে,, কখন খাচ্ছে,, কখন ঘুমাচ্ছে,,এসব শুনতেও শান্তি লাগতো।আমি তখন নিসু আপু কে বলেই ফেলি আচ্ছা আপু এই পিচ্চি কে আর কতদুন বিদেশ রাখবা।নিসু আপু বলে এইতো দুমাস পরে একেবারে চলে আসবে।আমি বললাম আচ্ছা এখানে এলে আমাদের কলেজ টা ভালো ওকে ভর্তি করে দিও।আমি নিজে ওকে পড়াবো।এখানে এসে অন্য কলেজে ভর্তি হলে ছেলেরা ওর পিছু নিবে তাই আমার কলেজে ভর্তি করলে আমি দেখে শুনে রাখতে পারবো।খুব পাম দিয়ে আর বলে কয়ে আমি তাদের পটিয়ে মৌ কে এখানে নিয়ে আসি।
তখন পরশ ভাইয়া বলে আচ্ছা তোর এর হৃদয় উজাড় করা ভালবাসার কথা টা কি তোর মহারানী জানে।শান্ত ভাইয়া বলে আরে না। আমি ফিলিংস দিয়ে বুঝাবো ওকে। কখনো প্রপোজ করে ভালবাসার জন্য প্রেসার দিবো না।
আমার চোখের কোনায় অজান্তে এক ফোঁটা সুখের পানি।কারণ কেউ আমাকে এত টা ভালবাসে এটা আমার জানা ছিলো না।
ভাবতে ভাবতে হুট করেই রেগে গেলাম হুহ!ভালবাসা না ছাই।আবার রাত দিন যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারলেই বেঁচে যায় উনি।আমি এখন থেকে আরো বেশী মুড নিয়ে থাকবো যে আমার কোনো ফিলিংস নেই উনার প্রতি।দেখবো কতদিন যুদ্ধ করতে পারে।
শান্ত ভাইয়া যা সুন্দর করে কথা বলে ওনার কথার ধরণ টাই ওনার চেহারাটা আরো বেশী সুন্দর করে তুলেছে।
আমি তো আজ মহা খুশি। সত্যি বলতে আমার ভীষণ হ্যাপি লাগছিলো এত মুড আর ভাবওয়ালি ছেলে যার জন্য এত মেয়ে পাগল সে কিনা আমাকেই ভালবাসে।
হুট করেই রাক্ষস তা হাজির।চলো বাইকে ওঠো।লেট হয়ে যাচ্ছে।বাইকের পিছে উঠে মনে হচ্ছিলো আমি যেন একটা হেলিকপ্টারে উঠেছি।এত জোরে চালাচ্ছিলো।আমি বাধ্য হয়ে বললাম ভাইয়া একটু আস্তে চালাও না আমার না ভয় করছে।বলতেই বাইক টা থামিয়ে মায়াবী নজরে আমার দিকে তাকিয়ে বললো এত সুন্দর করে কথা বলবে না আমার সাথে প্লিজ।আমাকে রাক্ষস খোক্ষস ভেবেই ঝগড়া করো ওকে।
ওমনি মুখ ঘুরিয়ে বললাম তোমাকে ঝগড়া করে বললে তো আমার কথা রাখতে না তাই বাধ্য হয়েই বলেছি।নইলে খেয়ে কাজ আছে তোমার মতো শত্রুকে আমি আদর করি।
আহ!আদর
ওহ বুঝেছি ওইটার ইচ্ছা হচ্ছে বুঝি।
কাল রাতের আদর ভুলো নি তাইতো।
আসো তুমি যখন চাইছো।
চলবে,,,,,
Share:

0 comments:

Post a Comment

Definition List

Unordered List

Support