#ভয়ংকর_আত্মা
#পর্ব·২
তার কাঁধে হাত দিতেই নেহা দেখলো মুখের একপাশ পোড়া ভয়ংকর আকৃতি চোখ গুলো উঠে আসা হাত দুটো অনেক লম্বা গাছের ডাল ডাল ধরে আছে।
নেহা এক নজর দেখতেই মাথা ঘুরে জায়গায় পড়ে গেলো। যাদের গল্প পড়তে ভালো লাগে আইডি তে ফলো দিতে পারেন
![]() |
ভয়ংকার আত্মা |
জ্ঞান ফেরার পর আমি আর নেহা দুজন ই সেই হোটেলে।নেহা আমাকে প্রশ্ন করলো কি ব্যাপার আমি এখানে কেনো আর এ জায়গা টা এমন অদ্ভুত চেনে চেনা লাগছে কেনো।
আমি নেহা কে বললাম আমরা অনেক কষ্টে তোমাকে খুজে পাই তুমি গাড়ি থেকে অনেক দূরে কি করছিলে।
একটা লোক খুজে পাই অনেক খুজাখুজির পর উনি আমাদের সহযোগিতা করেন।
আমরা দুজনে গাড়ি থেকে দূরে তোমাকে পাই আর সেখান থেকে তোমাকে হোটেলে নিয়ে আসি।
নেহা তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম নাহ এটাই আমার সারপ্রাইজ শেরপুর।
সবাই বাইরে গেলে নেহার চোখের সামনে ভাষতে থাকে বিছানায় দুইটা বাচ্চা খেলা করছে। নেহা খুব ভয় পাই আর আমাকে জোরে ডাকতে থাকতে
আমি কাছে এসে বলি কি হয়েছে। নেহা খুব ই ভয় পাই আর বলে এই জায়গা টার নাম কি আগে বলো।আমি আগেও এখানে এসেছি বলে মনে হচ্ছে।
আমি বলি এই জায়গার নাম শেরপুর। নেহা বলে এখানে আসা আমাদের মোটেও উচিত হয় নি।
আমি আগেও এখানে এসছি খুব ভয়ংকর জায়গা এটা।
আমি সব কিছু হারিয়েছি এখানে এসেই।
নেহার মুখে এসব শুনে আমি আর নেহা তখন ই ব্যাগ গুছিয়ে রওনা হই।
বাইরে বেরোতেই এক অন্ধ লোকের সাথে নেহার ধাক্কা লাগে আর বলে আরে নেহা তুমি এসেছো।
এতদিন তোমার অপেক্ষায় করছিলাম।
সে এই ১০ বছর তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।আমি জানতাম তুমি আসবে।
নেহা বলে কে আমার অপেক্ষা করছে।আর আপনি বা কে? আমার নাম জানলেন কিভাবে বলুন।
আমি নেহাকে অন্ধ লোকটার কথা শুনতেই দিলাম নাহ।
লোক টি বার বার বললো নেহা দাঁড়াও যেও না। তোমাকে খুব প্রয়োজন
কিন্তু আমিও বেশ অবাক হলাম অন্ধ লোকটি বা কিভাবে নেহা কে চিনলো।
আমরা দুজন গাড়ি নিয়ে বেরোলাম।হটাত নেহা চিৎকার দিলো গাড়ি থামাও।
নেহা দৌড়ে গাড়ি থেকে নেমে দাদা দাদা করে চিল্লাচ্ছে।
আমি নেহার পিছনে গেলাম।নেহা বললো আমার দাদা ছিলো এখানে।আমি বললাম কে তোমার দাদা।
নেহা বললো দশ বছর আগে যে হারিয়ে গেছে এই শেরপুর।খুব খারাপ কিছু হয়েছিলো আমার দাদার সাথে।আমি কখনো ভুলতে পারি না।
লেখিকা/mousumi
0 comments:
Post a Comment