#পর্বঃ৩
বৃন্দা ওর স্বামি ছাড়া আর কাউকে ভালবাসে না এ পৃথিবীতে।
এ পৃথিবীতে বৃন্দা কোনো প্রেম ভালবাসার জন্য আসে নি।
ওর মনে কোনো মায়া মমতা নেই।
জন্ম দিলেও ও মেয়েকে ভালবাসে না।তোমাদের কাউকে ভালবাসে না ও।
পরীর বয়স ১২ বছর হলেই বৃন্দা পরীকে ক্ষুন করবে এটাই সত্য।
আগের পর্ব আর পরবর্তী পর্ব পেতে আইডিতে ফলো দিন।
![]() |
বিষকণ্যা |
অনিকের পরিবার এমন কিছু শুনবে ভাবতেও পারে নি।এত ভয়ংকর পরিণতি হবে তাদের পরিবারে।
আর পরীর বা কি দোষ নিজের মায়ের হাতে ওর মৃত্যু এমন টা কি কোনো মেয়ের ভবিতব্য হয়।
অনিক আবারও বলে সাধু বাবা এই বৃন্দার সাথে আমার পরিবারের কি যোগসূত্র আপনি কি জানেন কিছু তাহলে খুলে বলুন
সাধু বাবা বলেন ১০০ বছর আগে তোমাদের বংশধর রা ছিলো এখানকার জমিদার।
জমিদার পুত্র মাহিন ছিলো জমিদার বংশের এক মাত্র রাজপুত্র।
সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদ হিসাবে মাহিন পাই জন্মচিহ্ন।জমিদার দের কোন ছেলে মেয়ে হচ্ছিলো না বলে এক সাধু তাকে ট্যাটু বিশিষ্ট এক ফুল দেই যেটা খেলে তাদের সন্তান হবে এবং তার পায়ে এই ট্যাটু থাকবে।
এটা একটা পবিত্র চিহ্ন তাই রাজ কুমার প্রথম যে নারী কে পছন্দ করবে তার সাথেই বিয়ে দিতে হবে নইলে যে কোনো ভাবে তার মৃত্যু হবে।
এই পবিত্র চিহ্নের অবমাননা করলে পরনতি খারাপ হবে খুব।
এরপর রাজকুমার একদিন জমিদার দের পুরা এলাকা ঘুরে দেখতে যায়।সেখানে গিয়েই বৃন্দার সাথে পরিচয় তার।
রাজপুত্র মাহিনঃতোমার নাম কি?
বৃন্দাঃআমার নাম বৃন্দা।
মাহিনঃতুমি কি করো
বৃন্দাঃআমি ফুল বিক্রি করি।বলেই মাহিন কে একটি মালা উপহার দেই।
মাহিন মেয়েটার ফুলের সুবাসে নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না।এত সুন্দর মেয়েটা। সৃষ্টিকর্তা হয়তো তার জন্যই মাহিন কে সৃষ্টি করেছে।
মাহিন রোজ আসা যাওয়া করতো বৃন্দার কাছ থেকে নেওয়ার জন্য।
আর বৃন্দা ও মাহিনের ফুল নেওয়ার অপেক্ষায় রোজ মালা গেথে রাখতো।
এভাবে তাদের মাঝে প্রেম ভালবাসার সৃষ্টি হয়।
মাহিন পরিবার জানায় বৃন্দাকে বিয়ে করার জন্য।এদিকে মাহিনের মা বাবা মাহিনের বিয়ে ছোট বেলায় অন্য জমিদার কণ্যার সাথে ঠিক করে রাখে।
মাহিন তার পরিবারে বৃন্দার সাথে বিয়ের কথা জানালে মাহিনের পরিবার ভয় পাই।তারা সাধুর ভবিষ্যত বাণীর কথা স্মরণ করে আর তারা ভাবে তাদের ঠিক করা মেয়ের সাথে মাহিনের বিয়ে৷ না দিলে মাহিনের মৃত্যু হবে।
তাই তারা মাহিন কে বিয়ে তে না করে দেই। মাহিন নিজে গিয়েই নিজের ইচ্ছা মতো বৃন্দা কে বিয়ে করে।
যে বিয়ের পরিনতি অতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।
লেখাঃমৌসুমি
0 comments:
Post a Comment