🍀
অবশেষে শান্তর সাথে আমার রিলেশন টা ঠিক হলো।আমাকে ভুল বোঝার আগুনে শান্ত অনুতপ্ত খুব।কারণ ও আমাকে ওর প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসে।এদিকে বাড়ির পরিবেশ টা বেশ স্বাভাবিক।সবাই যে যার মতো কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।অনেক খোজাখুজির পরেও পিহু আপুর কোনো সন্ধান আর পাওয়া যায় নি।সবাই সব ভুলে স্বাভাবিক হলেও শুধু স্বাভাবিক হতে পারে নি সোহেল ভাইয়া।
অবশেষে শান্তর সাথে আমার রিলেশন টা ঠিক হলো।আমাকে ভুল বোঝার আগুনে শান্ত অনুতপ্ত খুব।কারণ ও আমাকে ওর প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসে।এদিকে বাড়ির পরিবেশ টা বেশ স্বাভাবিক।সবাই যে যার মতো কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।অনেক খোজাখুজির পরেও পিহু আপুর কোনো সন্ধান আর পাওয়া যায় নি।সবাই সব ভুলে স্বাভাবিক হলেও শুধু স্বাভাবিক হতে পারে নি সোহেল ভাইয়া।
উনার চোখের ঘুম সেদিন ই নষ্ট হয়েছে যেদিন পিহু আপু বিয়ের আসর ছেড়ে ঘরভর্তি লোকের মাঝে সোহেল ভাইয়া কে কষ্ট আর অপমান দিয়ে চলে গেছিলো।
![]() |
একাত্ম ভালবাসা |
সোহেল ভাইয়ার কথা ভেবে আমার নিজের ই কেমন একটা দম বন্ধ কষ্ট লাগে।পিহু আপু আর সোহেল ভাইয়া অনেক সময় কাটিয়েছে এক সাথে শপিং পার্ক রেস্টুরেন্টে খাওয়া স্পেশাল সময় কাটানো কিন্তু এ সব কিছু পিহু আপুর কাছে অভিনয় ছিলো আর সোহেল ভাইয়ার কাছে ছিলো সত্যি কারের ভালবাসা।আজ অনেক দিন পরে সোহেল ভাইয়া মামাদের বাড়িতে আসছে মামার দেওয়া আংটি আর চেইন টা ফেরত দিতে।সোহেল ভাইয়া আসবে বলে বাড়িতে অনেক রান্না ও হলো।
সোহেল ভাইয়া এসে আমার রুমে এলো মানে যে রুম টায় আমি আর পিহু আপু থাকতাম।রুম টা আসলে পিহু আপুর ই।দরজায় নক দিতেই আমি বুঝলাম এটা সোহেল ভাইয়া কারণ তার আসার কথা আছে আজ।
আমি দরজা খুলেই দেখি সোহেল ভাইয়া।
আরে ভাইয়া কেমন আছেন?
তুমি তো জানোই আমি কেমন আছি মৌ।
আমি কি উত্তর দিবো সেটা অজানা ছিলো।
বললাম ভাইয়া আসুন না বসুন।সোহেল ভাইয়ার মুখ টা খুব ই মলিন।এখনি হয়তো কেঁদে দিবে।আমার দিকে তাকাতে পারছে না নিজের চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করছে।আমি সিসুয়েশন ঠিক করার জন্য বললাম ভাইয়া কফি এনে দেই।
ভাইয়া বলে থাক মৌ।এই নাও তোমার জন্য কিছু চকলেট আর ফুল এনেছিলাম।ভাইয়া জানে আমি চকলেট ভালো খাই।জানো মৌ এই রুমে দাঁড়িয়ে পিহু কত স্বপ্ন আমাকে দেখিয়েছে।আমাকে ছাড়া নাকি ও বাঁচবে না।আমার ভালবাসা ছাড়া নাকি ওর জীবন অসম্পূর্ণ। পাঁচ মিনিট পর পর ফোন কল আমাকে বুঝতেই দিতো না সে আমাকে ভালবাসে না।ওর মনে যখন এটাই ছিলো তাহলে আমাকে কেনো ভালবাসার স্বপ্ন দেখালো।আমি কিভাবে বাঁচবো বলতে পারো মৌ।
আমি ভাইয়ার মন কে সান্তনা দিতে ভাইয়া কে বললাম ভাইয়া আপনি কম কিসে শুনি।আপনি আরো ভালো কাউকে পাবেন।তবে পিহু আপু ও একদিন নিজের ভুল বুঝে আপনার কাছে ফিরে আসবে।বাট সেদিন কি আর আপনার কাছে জায়গা পাবে।ভাইয়া কে পরীক্ষা করার জন্য বললাম।
ভাইয়া বলে হ্যাঁ মৌ ওর জায়াগা আমার কাছে চিরকাল ই থাকবে।
কিছুক্ষণের মাঝেই মামা আর মামি আর শান্ত নাস্তা নিয়ে রুমে আসে।সোহেল ভাইয়া অনেক কষ্ট নিয়ে চেইন আর আংটি নিয়ে মামার হাতে দিয়ে বলে বাবা আমাকে ভুল বুঝবেন না।আমি আপনার ছেলে হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু যাকে নিয়ে সেতু বন্ধন করবো সেই তো বন্ধন ভেঙে চলে গেছে।মামা মামি আর সোহেল ভাইয়া সবাই কাঁদছে।মামা সোহেল ভাইয়ার হাত ধরে বলে আমি তোমাকে কষ্ট ছাড়া দিতে পারি নি আমি আর কতদিন বা বাঁচবো কিন্তু আমার একটা অনুরোধ আছে বাবা তুমি আমার দেওয়া উপহার ফেরত দিও না।জানি এ আবদার আমার অন্যায় একজন বাবা হিসাবে এটা আমার দাবি তোমার কাছে প্লিজ বাবা এটা ফেরত দিও না।মামি আর শান্ত ও অনেক অনুরোধ করলো সোহেল ভাইয়া সবার রিকুয়েষ্ট ফেলতে পারলো না।
ভাইয়া তো কিছুই খাবে না অনেক জোরাজুরির পরে সামান্য কিছু খেয়ে বিদাই নিলো।
রাত ১০ টায় আমি আর শান্ত মামা আর মামি কে লুকিয়ে ছাদে গল্প করছি।শান্ত আমার হাত ধরে বলে আমার পাগলি টা তোকে অনেক কষ্ট দিয়েছি তাইনা।নে আমাকে শাস্তি দে যতদিন বেঁচে থাকবো তোর দেওয়া শাস্তি মাথা পেতে নিবো।
ইশ রে শাস্তি পাওয়ার খুব শখ হইছে তাইনা।
যেদিন অন্য জায়গা বিয়ে করবো সেদিন শাস্তি কি বুঝবা।
যেদিন অন্য জায়গা বিয়ে করবো সেদিন শাস্তি কি বুঝবা।
শান্ত রেগে একটা গালি দিয়ে বলে কি বললি তুই আমার না হলে তোকে খুন করবো তবুও অন্য কারো হতে দিবো না।শোন তুই আমার না হলে সব কিছুতে আগুন লাগিয়ে দিবো আমি।
তাই এত্ত ভালবাসো আমাকে।
যতটা জানিস তার চেয়ে বেশি ভালবাসি রে পিচ্চি বউ পাখি টা।
এর ই মাঝে সোহেল ভাইয়ার ফোন।ভাইয়া আমাকে যা বললেন আমি তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।
চলবে।
0 comments:
Post a Comment