#পার্টঃ৯
#writerঃমৌসুমি_আক্তার
🍁
শান্ত আমার হাতে একটা চিঠি তুলে দিলো।
এমনি তেই আমার মনের মাঝে ভীষণ অশান্তি হচ্ছে।আজ বাড়ির সমস্ত আত্মীয় বরযাত্রী সবার কাছে মাথা ছোট হয়ে যাবে মামা মামির।মামার মুখের দিকে চাইলে মনে হচ্ছে এখনি প্রেসার বেড়ে যাবে। নিজের জন্য এ বাড়ির এত সর্বনাশ।পিহু আপু এটা কি করলো।
![]() |
একাত্ম ভালবাসা |
শান্তর দিকে তাকানোর সাহস আমার নেই। চড় মেরেছে কেনো তাও জানিনা।পিহু আপুর চিন্তায় সেটাও শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে না।ভাবনার ঘোরে আমি অন্য জগতে চলে গেছিলাম।
হটাত ই শন্ত বলে ওঠে তুই এতটা জঘন্য আগে জানতাম না।তোর জন্য আমার বাবার সম্মান আজ ধুলোর সাথে মিশে গেছে।তুই কারো মেয়ে হওয়ার যোগ্য না।তুই কারো বোন হবার ও যোগ্য না তাহলে এভাবে ক্ষতি টা করতে পারতি না।এই পিহু কি তোর ও বোন না।আমরা কি তোর পর।কাল অবধি তুই আমার কলিজা ছিলি কিন্তু আজকের পর আমার মন থেকে তোর মতো বেঈমান এর ভালবাসা আমার মন থেকে মুছে দিয়েছি।
শান্তর কথা টা শুনে আমার বুক টা চিন চিন করে উঠলো যে কিনা কাল রাতেও আমার সাথে আকাশের তারা গুনেছে আর আজ সে আমাকে এতটা ঘৃনা করছে কি আছে এ চিঠিতে।
আমি চিঠিটা খুলে দেখি সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে,,
মা বাবা ভাইয়া আমাকে তোরা ক্ষমা করে দিস।আমি পরস কে খুব ভালবাসি।আমি অন্য কাউকে মেনে নিতে পারবো না।আজ যদি মৌ না থাকতো আমি আমার ভালবাসার মানুষের কাছে পৌছাতে পারতাম না।মৌ আমাকে সব সময় সাপোর্ট করেছে আমার পাশে থেকেছে আমার মনোবল বাড়িয়েছে।মৌ আমার ব্যাপারে সব টা জানতো। আজ আমি মৌ সাহায্য বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলাম।
আমাকে ক্ষমা করে দিও।
চিঠিটা পড়ে আমার হাত থেকে চিঠিটা পড়ে গেলো।চিঠিতে যা লেখা তাতে আমার নিজের বিরুদ্ধে সত্যতা প্রমান করার মতো কোনো রাস্তা নেই।আজ আমি নির্দোষ কিন্তু সেটা প্রমান এর মতো কোনো কিছু আমার কাছে নেই।
আমার সাথে পিহু আপু বাইরে গেছে সেটা আমি শান্ত কে জানিয়েছিলাম।শান্তর চোখে ছলছল পানি যেন হৃদয় ছিড়ে যাচ্ছিলো যন্ত্রনায়।
আমি শুধু শান্তকে একটাই কথা বলেছিলাম একদিন প্রমান হবে আমার কোনো দোষ নেই।
এদিকে বরযাত্রী তাড়া দিচ্ছে যে মেয়ে কোথায়?চারদিকে কানাকানি হয়ে গেছে বিয়ের কনে নিঁখোজ।বরযাত্রী রা মুখে থু থু ছিটাচ্ছিলো।যা তা মান অপমান করে তারা বিদায় নিলো।
খুব কষ্ট হচ্ছিলো সেই মানুষ টার জন্য যে পিহু আপুকে বিয়ে করতে এসেছিলো।সোহেল ভাইয়া অনেক ভালো একজন মানুষ। সোহেল ভাইয়ার দু চোখ ভরা পানি।তার বুক ফেটে যাচ্ছিলো কষ্টে। সোহেল ভাইয়া ৬ মাস পিহু আপুর সাথে ফোনে কথা বলেছে।সে পিহু আপুকে প্রচন্ড ভাল বেসে ফেলেছে।পিহু আপু এভাবে তাকে ফাঁকি দিবে সেটা তার কল্পনার বাইরে ছিলো।সোহেল ভাইয়ার অনেক বন্ধু এসেছিলো বিয়েতে।সোহেল ভাইয়া একজন ডাক্তার মামা পিহু আপুর জন্য একজন যোগ্য পাত্র খুজে এনেছিলো কিন্তু পিহু আপু হিরা আর কাচ চিনতে ভুল করেছে।সোহেল ভাইয়ার বুকের মাঝের ঝড় টা বাইরে থেকে অনুভব করা যাচ্ছিলো।সোহেল ভাইয়া এতদিনে এ বাড়ির একজন ছেলে হয়ে উঠেছিলো সবার দু চোখ ভরা স্বপ্ন ছিলো এই দিন টা ঘিরে।সোহেল ভাইয়া যাওয়ার সময় একটা কথা বলে বিদায় নিলো পিহুর আমার কথা মনে পড়বে একদিন।আমার মনের মাঝে পিহু ক্ষত বিক্ষত করেও যদি সুখি না হয় আমাকে যেন একবার ডাক দেই আমি গ্রহন করবো।একটা ছেলের হৃদয় কতটা বড় হলে এভাবে ভাল বাসতে পারে।আমি অসহ্য যন্ত্রনা টা সহ্য করতে পারছিলাম না।
বর যাত্রী আত্মীয় সবাই বিদাই নিলো।এ বাড়ির মুখে চুন কালি দিয়ে বিদাই নিলো সবাই।যা তা ভাবে কথা শুনিহে বিদাই নিলো সবাই।
মামা আর মামির মুখের দিকে তাকানোই যাচ্ছে না। একজন অসহায় বাবা লাগছিলো তাকে।বুক ভাঙা আর্তনাদ একজন বাবার।নিজের কলিজার টুকরা মেয়ে যদি এভাবে কষ্ট দিয়ে চলে যায় বাবার সম্মান আর কষ্টের কথা একবার ও না ভাবে কখনো আর কোনো বাবার মেয়ে সন্তানের প্রতি ভালবাসা জন্ম নিবে নাহ।
চলবে,,
অনেক ব্যাস্ততার সাথে লিখেছি বানানে ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
0 comments:
Post a Comment