https://www.videosprofitnetwork.com/watch.xml?key=8cf0b61af69080e05fa4a951cb6774cb একাত্ম ভালবাসা ~ Mou Er Golpo

Its Mou Er Golpo Website http://feeds.feedburner.com/MouErGolpo

Saturday, July 4, 2020

একাত্ম ভালবাসা


আমাকে ভিজিয়ে খোক্ষস টা যেন এক পৈচাশিক আনন্দ পাচ্ছিলো।মৃদু মৃদু গলায় বলছে আর করবা এমন দুষ্টুমি।আমার মনে হচ্ছিলো এ এখান থেকে পড়ে এর কোমর টা ভেঙে যাক তাইলে আমি শান্তি পেতাম।নিজেকে ছাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা আমি চালিয়েই যাচ্ছি কিন্তু তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না আমার।কারণ সে আমার চেয়ে ঢের বড় সড় একটা মানুষ চাইলেই আমার পক্ষে তার থেকে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব না।
,
,
আমাকে ইচ্ছা করে আরো বেশী জোরে চেপে ধরলো।
উহু!
সুড়সুড়ি লাগছে ছাড়ুন।,
একাত্ম ভালবাসা
একাত্ম ভালবাসা

বলতেই হাতের আঙুল দিয়ে আমার কোমরে সুড়সুড়ি দিচ্ছে।আর আমি একটা বাদরের মতো লাফাচ্ছিলাম।আমার এগুলা সে অপলক নয়নে দেখছিলো।মনে হচ্ছিলো কি যেন একটা ভীষণ তৃপ্তি পাচ্ছে সে।তারপর বললো যাও চেঞ্জ করে নাও নইলে আবার ঠান্ডা বাধাবে তো।যাক বাবা কেয়ারিং আছে দেখছি।মনে মনে ১০১ টা গালি দিয়ে ছাড়লাম।ওখান থেকে আসার সময় যেন ঠ্যাং ভেঙে পড়ে যায় আর সাথে কোমর টা আমি ১০ টাকা ফকির কে খাওয়াবো।বিড়বিড় করতে করতে রুমে প্রবেশ করলাম।
,
,
সাথে সাথে মামি বলে কিরে এত ভিজলি কিভাবে।এখন তো বৃষ্টি নেই কোথাও।মামির কথা শুনে পিহু আপুও দোতলা থেকে নিচে নেমে এলো।কিরে মৌ সত্যি তো এত ভিজলি কিভাবে।আমি কাঁদো কাঁদো গলায় জানো আপু তোমাদের বাগানে একটা ছেলে প্রবেশ করেছে যে তোমার ক্ষতি করার জন্য এ বাড়িতে প্রবেশ করেছে।তুমি ভেবে আমার সাথে অসভ্যতা করেছে।মামির চোখ দুটোই কপালে। কারণ এমন একটা কথা শুনে যে কোনো মায়ের ই নরমাল এট্যাক হওয়ার কথা।কেনানা এটা একটা ইজ্জত এর ব্যাপার কেউ একজন বাড়ির ভিতরে ঢুকে তার মেয়ের ইজ্জত হরণ করবে মামি সাথে সাথে সিরিয়াস ভাবে আমার কাছে জানতে চাই,,, এই বল তো আমাকে সব টা খুলে।
,,
,
আমি বললাম জানো মামি একটা ছেলে আমাকে জোর করে বাগান থেকে জড়িয়ে ধরেছে। আর এইভাবে আমাকে ভিজিয়ে দিয়েছে আমি বললাম ছাড়ুন আমাকে সে বলে কিনা আমি পিহু ভেবেছিলাম তোমাকে।পিহু আপু হেসেই যাচ্ছে।এত সিরিয়াস ঘটনা শোনার পর ও আপুর হাসি পাচ্ছে এটা দেখে আমার একটু কেমন লাগলো।পিহু আপু বলছে মা চিন্তা করো না গুন্ডা টা এখনি ঘরে প্রবেশ করবে বলতেই,,,, শান্ত রুমে প্রবেশ করলো।
,
,
পিহু আপু ওই গুন্ডা কে বলছে কিরে ভাইয়া এতক্ষণ কোথায় ছিলি,,,, আর এত লেট কেনো আর এভাবে ভিজলি কিভাবে হুম।আর বলিস না তোর পাশের ওই রাগ বালিকা কে তুই ভেবে জড়িয়ে ধরাতে এসে আমাকে এভাবে গোসল করিয়ে দিলো।মা তোমার আর ছেলের বউ খোজার দরকার নেই তোমার ছেলেকে ফ্রিতে গোসল করানো মানুষ হাজির।দেখলে মা ওই যে আবার টমেটোর মতো লাল হয়ে যাচ্ছে ও।ইশ,,,, রাগলে না জোস লাগে তোমাকে। আই লাইক ইট বলেই আমাকে চোখ মেরে দিলো।
,
,
এবার মামি বললো কিরে তোকে কি শান্ত জড়িয়ে ধরেছিলো।শান্ত জড়িয়ে ধরেছিলো মানে।,,,,,,,,ইয়ে মানে ওইটা শান্ত ভাইয়া,, বলছিলাম ঠিক ই মুখে ভিতরে রেগে আমার ১২ টা বাজছিলো।এখানে আসার আগে শুনেছি শান্ত ভাইয়া নাকি আমার মন ভালো রাখবে,,,,,, আমার চার বছরের বড় শান্ত ভাইয়া।আমার ছোট বেলার খেলার সাথি ছিলো।শুনেছি সে অনেক ভালো মনের একটা মানুষ। এর আগ অবধি আমি উনার অপেক্ষা করছিলাম যে না জানি কত সুইট করে এসে আমার সাথে গল্প করবে। আমি মনে মনে এক আকাশ কল্পনা নিয়ে ছিলাম।বাট উনি আমার দিল টাই ভেঙে দিলো,,আজ বুঝলাম যে শোনা কথায় কান দিতে নেই,,নিজের চোখে না দেখলে ওই বদ মানুষ টার প্রতি আমার এক আকাশ ভালো ভালো আইটেম এর ধারনা কাজ করতো।
,
,
যায় হোক আমি এখানে এসেছি পিহু আপুর বিয়েতে।এক মাস আগেই আমি এসেছি।কারণ গ্রাম দেখার সৌভাগ্য আর আমার হয়ে ওঠে নি।সাত বছর বয়সে ফুফিদের সাথে বিদেশ চলে গেছিলাম।ওখান থেকে লেখা পড়ে করেছি। ক্লাস নাইনে যখন পড়ি তখন ঢাকায় এসে ঢাকার একটা কলেজে নাইনে রেজিস্ট্রেশন করে যায়।আবার এস,এস,সি পরিক্ষার সময়ে এসে পরীক্ষা দিয়েছি।রেজাল্ট এর পরে একেবারে চলে এসেছি।
এবার আমি ইন্টার ভর্তি হবো।
বিকাল গড়িয়ে সন্ধা হয়ে এসছে মামি চা নাস্তা রেডি করে আমাদের ডাকছে।আমি আর পিহু আপু দুজনে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় আমার ওড়না টা সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে পড়ায়,,,, পেছন থেকে কেউ আমার ওড়না পা দিয়ে চেপে ধরায় আমি সামনে পড়ে যায়।,,,,সাথে সাথে আমি জোরে চিৎকার দিয়ে উঠি,,,আহ! পা টা সাথে সাথে মচকে গেলো। অয়া নিয়ে ওঠার মতো শক্তি আমার ছিলো না।
মামি আর পিহু আপু ছুটে এসে আমার পা টেনে দিচ্ছিলো।বাট আমি উঠতে পারছিলাম না।আমার চোখের দৃষ্টি যথেষ্ট ভালো হওয়াতে আমি উপরে দেখি শান্ত নামের অশান্ত বেয়াদব টা উপরে দাঁড়িয়ে আছে।আমার ওড়না চেপে ধরে আমাকে ফেলে দিয়ে এখন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।আমি বুঝতে পারছিলাম এত সিরিয়াস কেস হয়ে যাবে ও বুঝতে পারে নি।মুখ খানা খুব অসহায় করে রেখেছে।
এর ই মাঝে পিহু আপুর ফোন বাজছে।আর পিহু আপু বার বার কেটে দিচ্ছে।আমি খেয়াল করলাম যে সোহেল নামের কেউ কল দিচ্ছে।আমার কাছে কেমন একটু সন্দেহের লাগছে যে,,,এটা তো আপুর হবু বর না।তাইলে কে ফোন দিচ্ছে।
হুট করে মামি বলে ওঠে এই শান্ত মৌকে কোলে তুলে ঘরে দিয়ে আয় তো।ও পা নিয়ে উঠতে পারছে না।
যদি ভালো লাগে আপনাদের শান্ত মৌ এর প্রেম কাহিনী বাকিটা দিবো।
চলবে,,,
Share:

0 comments:

Post a Comment

Definition List

Unordered List

Support