#পার্টঃ৪
#Writerঃমৌসুমি_আক্তার
♥
অপরাধ বোধে শান্ত ভাইয়া নিচে খেতে আসছে না সেটা আর আমার বুঝতে বাকি নেই।সারারাত থু থু ফেলে আমার গলা বুক শুকিয়ে গেছে।মনে হয় সিগারেট ও খাই ওই সিগারেট এর মুখ দিয়ে আমাকে কিস করেছে ছি ঃ।
আমার যে কি ঘেন্না করছে।ধর্ষন হলে বুঝি মানুষের এমন ই ঘেন্না কাজ করে।খাবে খাক না খাবে না খাক আমার তাতে কিছুই আসে যায় না। বিশ্রি একটা বেয়াদপ আমাকে জোর করে ১০ মিনিট ধরে কিস করে নিলো।মনে হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওর ঠোঁট দুইটা ১০০ টুকরো করে কাক কে দিয়ে খাওয়ায় দি।মামির হাজার ও ডাকাডাকির পর শয়তান খেতে আসছে না। যা না খেয়ে মরে যা তো দেখি তাতে আমার কি হয়।
আজ আমার কলেজের ভর্তির প্রথম দিন।ওই বেয়াদপ এর সাথেই যেতে হবে উনি আবার কলেজের পলিটিক্যাল বস নাকি।কে মান্যি করে ওই শয়তান ছেলেটাকে তাই বুঝি না।পিহু আপু আমার এক ইয়ার উপরে পড়ে আর আমি এবার ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হবো।শান্ত ভাইয়া ফাইনাল ইয়ারে পড়ে।বাড়ির স্পেশাল কার আছে কিন্তু উনার বাইক পছন্দ।তাই উনি বাইকে করেই কলেজে যায়।ড্রাইভার কে বলে দিয়েছে আমাকে আর পিহু আপুকে যেন কলেজ গেইট এ নামিয়ে দেই।আর উনি বাইকেই আসবে।আমরা রওনা হলাম ড্রাইভার আমাদের নিয়ে যাচ্ছেন হটাত মাঝ পথে পিহু আপুর একটা কল আসলো উনি পথেই নেমে গেলেন।পিহু আপু ড্রাইভার কে বললেন আমার বান্ধবীর থেকে নোট নিতেই হবে আপনি মৌ কে নামিয়ে দিয়ে আসবেন। আমার খুব ই সন্দেহ হচ্ছে পিহু আপু হাব ভাব। বিয়ে ঠিক উনি তা নিয়ে হ্যাপি তবুও একটা সন্দেহ জনক ব্যাপার উনার মাঝে কাজ করে।ভাবতে ভাবতে আমি কলেজ পৌছে গেলাম।
আজ আমি ব্লু কালার এর একটা গাউন পরেছি।হাতে নীল চুড়ি কানে ঝুমকো এক পায়ে পায়েল আর কপালে ছোট কালো টিপ চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া।গাড়ি থেকে নেমেই ভিতরে প্রবেশ করতেই সব ছেলেরা হা হয়ে তাকিয়ে আছে যেন জীবনে তারা মেয়েই দেখে নি। বাট প্রথম দিন আমার র্যাগিং এর স্বীকার হতে হয়েছে। কেউ বলে গান গাইতে কেউ বলে নাচতে।সবাই শুধু নাম জানতে চাই।এর ই মাঝে তো একটা ছেলে ডিরেক্ট প্রপোজ ই করে বসলো যে নীল পরী তোমার মতো সুন্দর মেয়ে আমি জীবনে দেখি নি।আমি তোমাকে প্রথম দেখাতে ভালবেসে ফেলেছি প্লিজ এক্সেপ্ট মি।আমি বললাম ভালবাসা এমন সস্তা বুঝি এক পলকে হয়ে যায়। আমি ওর কথায় পাত্তা না দিয়ে চলে যাওয়াতে ছেলেটা পিছন থেকে আমার ওড়না টেনে ধরে।
![]() |
একাত্ম ভালবাসা |
হয়তো ছেলেটাও বুঝতে পারে নি আমার ওড়না টা পিছলে পড়ে যাবে। ওড়না টা আমার হাতে দিয়ে বার বার সরি বলছিলো কিন্তু কে শোনে কার সরি হটাত ই মেঘের গর্জন এর মতো গুম গুম আওয়াজ এ মারধার এর সাউন্ড।এক ঘুষিতে শান্ত ছেলেটার নাক ফাটিয়ে দিলো।শান্ত রাগে ওর রগ ছিড়ে যাচ্ছিলো।আর কলেজের সবাই কে ডেকে দেখিয়ে দিলো মৌ এর দিকে কেউ আজকের পর তাকালে তার চোখ আমি আস্ত রাখবো না।ছেলেটিকে কয়েকজন মিলে হসপিটালে নিয়ে গেলো।আমি শান্তর হাত ধরে পাশে টেনে নিয়ে বলি এভাবে মারা টা কি ঠিক হলো।ওমনি বলে উঠলো হ্যা একবার না আমি হাজার বার মারবো যদি তোমার দিকে কেউ খারাপ নজর দেই।
আমি ও বলে দিলাম আমাকে নিয়ে ভাবতে হবে না।আমি নিজেই নিজের টেক কেয়ার করতে জানি।পিহু কোথায়।আমি বললাম নোট আনতে গেছে কিন্তু পিহু আপু আজ আর কলেজে আসে নি।শান্ত আমাকে ভর্তি করে ক্লাস করিয়ে ওর বাইকে করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছে।
আজ আমি খেয়াল করছিলাম ও অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়েই আছে।অবাক নয়নে আমাকে দেখছিলো।কি জানি প্রায় সময় আমার দিকেই তাকিয়েই থাকে।হুট করেই বাইকের স্ট্যান্ড রাখায় ধাক্কা লেগে আমার লিপিস্টিকের দাগ ওর শার্টে লেগে যায়।আমি বললাম এভাবে গাড়ি দাড়ানোর মানে আছে।বলে একটা সিগারেট খেয়ে নি।আমি বললাম থু খেতেই হবে।সে বলে তোমার প্রব্লেম হলে দূরে যাও।
আমি বললাম এই যে শুনুন ওটা না খেলেই নয়।সে আমাকে বলে এই তুমি আমার সাথে অপরিচিত দের মতো ব্যবহার করো ক্যানো শুনি।আমি না তোমার মামাতো ভাই।আমি বললাম।ভাই না ছাই।বলে কাল রাতের জন্য সর্যি।আর এমন হবে না।আসলে ইয়ে মানে।ইয়ে মানে টা কি মাফ করতে পারি আমাকে ওই কাশ বন টার কাছে নিয়ে যেতে হবে পারবেন।
চলবে,,,
0 comments:
Post a Comment