https://www.videosprofitnetwork.com/watch.xml?key=8cf0b61af69080e05fa4a951cb6774cb 2020 ~ Mou Er Golpo

Its Mou Er Golpo Website http://feeds.feedburner.com/MouErGolpo

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Saturday, July 4, 2020

একাত্ম ভালবাসা

😥
শান্ত বিদেশ চলে গেলো।মনটা বড্ড উদাস থাকে আমার।সারাদিন ভিডিও কল আর অডিও কল এ সময় কাটে আমাদের।শান্ত ছাড়া আমার যেন সময় ই কাটে না।
হটাত একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার মা বাবা আর আমার আপু মামাদের বাড়ি।কেউ একজন নাকি আসবে মামাদের বাড়ি কিন্তু কে সেটা আমাকে কেউ বলছে না।আমার আপু আমাকে বলছে তোমার জন্য বিশেষ একটা সারপ্রাইজ আছে।জানি তুমি ভীষণ খুশি হবে।আমি তো বুঝতেই পারছিলাম নাহ কিসের সারপ্রাইজ কিসের খুশি।
বিকাল হতে না হতেই একজন হ্যান্ডসাম বাড়িতে প্রবেশ করে।বাহ! দেখতে সুন্দর এর কম নেই।সব মিলায়ে যেন একজন হিরো নেমেছেন গাড়ি থেকে।আমি হা হয়ে তাকিয়ে আছি কে এটা।সবাই তাকে নিয়ে বেশ মাতামাতি করছে।এদিকে আমাকে কেউ পাত্তাই দিচ্ছে না।ওদিকে ওই ছেলেটা উকি ঝুকি দিয়ে বারবার আমাকেই দেখছে।মেয়ে দেখলে ছেলেদের যা অভ্যাস আর কি।ছেলেটি আমার কাছে এসে বলে আমি খুব ভুল না করলে এটা মৌ।আমি হা করে তাকিয়ে আছি আমার নাম ও জানে।সবাই আমাকে বলছে কিরে চিনলি না তোর অভ্র ভাইয়া।পাশ থেকে একজন বলে ওঠে অভ্র ভাইয়া না অভ্র বর বলো।সবাই হুহু করে হেসে উঠলো।অভ্র ভাইয়ার নাম টা আমার জানা।শান্তর বড় ভাইয়ার নাম ই অভ্র।আমি ছোট বেলা দেখেছি তাকে অনেক দিন দেখি নি তাই চিনিও না।আমি অভ্র ভাইয়ার সাথে সুন্দর ভাবে কথা বললাম।ভাইয়া আমার জন্য অনেক গুলা গিফট এনেছে।আমিও বেশ অবাক হচ্ছি ব্যাপার টাতে মনে হচ্ছে আমি উনার কাছে স্পেশাল কেউ।আজ অনেক দিন পরে মনে হচ্ছে মামা অনেক বেশী হ্যাপি।আমি শান্ত কে ফোন দিয়ে বললাম যে ভাইয়া এসছে শান্ত ও খুব খুশি হলো আর বললো আর সাত দিন পরেই আমি ফিরে আসবো এসে ভাইয়ার সাথে দেখা করবো।যাক অনেক দিন পরে সবাই কে অনেক টা হাসি খুশি লাগছে।আমার জন্য যে খুশি টা নষ্ট হয়েছিলো সেটা আজ ফিরে এসছে।
রাতে দেখলাম মা বাবা মামা মামি আর অভ্র ভাইয়া এক সাথে গল্প করছে।হটাত শুনি ওরা অভ্র ভাইয়ার বিয়ে নিয়ে কথা বলছে।হটাত ই শুনি মামা বলছে অভ্র আর মৌ এর বিয়েটা হলে আমি শান্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারবো আর আমি জানি মৌ আমার কথার বিরুদ্ধে যাবে নাহ।মৌ পিহুর মতো বেঈমান না।এদিকে আমার বাবা বলছে ছোট বেলা থেকেই ওদের বিয়ে ঠিক আর মৌ আমাদের লক্ষি মেয়ে।এদিকে অভ্র ভাইয়া বলছে মৌ এর অনুমতি নিয়েছো তোমরা।মামা বলে এবার যদি আবার ছেলে মেয়েরা আমার মনে কষ্ট দেই আমার লাশ দেখবে সবাই। সবাই মামাকে বুঝাচ্ছে এসব খারাপ চিন্তা না করতে।
একাত্ম ভালবাসা
একাত্ম ভালবাসা
মানে কি?সবার খুশির কারণ টা কি আমার আর অভ্র ভাইয়ার বিয়ে নিয়ে।ভিতরের যা পরিবেশ তাতে বেশ বুঝছি তাদের জীবনে সব খুশি ফিরে এসছে অভ্র আর আমার বিয়ে নিয়ে।এতদিন মামা কে আমি হাসতে দেখি নি আর আজ তাকে আমি কিভাবে বলবো যে আমি তার বড় ছেলে নয় ছোট ছেলেকে ভালবাসি।
শান্ত ছাড়া অন্য কাউকে স্বামি হিসাবে নেওয়া টা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।আমি অন্য কাউকে বিয়ে করলে শান্ত নিজেকে শেষ করে ফেলবে আর আমি অভ্র ভাইয়াকে বিয়ে না করলে মামা নিজেকে শেষ করে দিবে।ছোট বেলা তারা আমাদের বিয়ে ঠিক করে রেখেছেন।এদিকে আমি শান্ত কে জানালে ও মামাকে ডিরেক্ট আমাদের রিলেশন এর কথা জানাবে আবার পিহু আপুর মতো ঘটনা ঘটে যাবে।
হটাত আমার নাম ধরে আমার বাবা ডাক দেন মা মৌ। আমি ভিতরে প্রবেশ করি।আমার বাবা আমাকে বলেন কিছুদিন আগে পিহু কে নিয়ে যে ঘটনা ঘটে গেছে তাই তোমার মামা এবার কোনো লোক জানাজানি করবে না।তোমার আর অভ্রর বিয়ে ঠিক ছিলো তাই আমরা তোমাদের বিয়েটা আগামি কাল ই সেরে ফেলতে চাই।
বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে কখনো কথা বলি নি।মাথা নিচু করে চোখ দিয়ে পানি ফেলে চলে এলাম রুমে।সারারাত ঘুম হলো না আমার।আমার আর শান্তর পৃথিবী টা কাল থেকে আলাদা হয়ে যাবে।কিভাবে মেনে নিবো অন্য কাউকে।পালিয়ে যাবো কিন্তু যার সাথে যাবো সে আজ অনেকদূরে। সব মিলিয়ে জীবনের সব থেকে খারাপ সময় টা পার করছিলাম।
পরের দিন আমার সাথে অভ্র ভাইয়ার বিয়ে টা হয়েই গেলো।আমি ভাবতেও পারছি না আমার বিয়ে হয়েছে শান্ত বাদে অন্য কারো সাথে।
শান্ত কে বাড়ি থেকে কেউ বলেনি যে মৌ আর অভ্রর বিয়ে হয়েছে।সবাই ভেবেছে আমাকে ভাই এর বউ হিসাবে দেখলে শান্ত অনেক টা সারপ্রাইজড হবে।শান্ত শুধু জানে তার ভাইয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে তাই সে মহাখুশি কিন্ত কার সাথে এটা জানে না। ভাবি দেখবে বলে তার মন অনেক উতালা।
আমাদের বিয়ে হওয়ার পরেই বাড়িতে একটি চিঠি আসে।আর চিঠিটা মামির হাতেই পড়ে।চিঠি টা পিহু আপুর।পিহু আপু অনেক কিছুই লিখেছে চিঠিতে আর তার মাঝে লিখেছে মা শান্ত ভাইয়া আর মৌ দুজন দুজন কে খুব ভালবাসে ওদের বিয়ে কি হয়ে গেছে।
(বাকি টা সিজন ২ তে দিবো)
Share:

একাত্ম ভালবাসা

🍁
সোহেল ভাইয়ার কল পেয়ে আমি অবাক।শান্ত আমাকে প্রশ্ন করে কার কল।আমি শান্ত কে বললাম রং নাম্বার।কারণ এত রাতে সোহেল ভাইয়ার কল শান্ত আবার কি ভাববে।শান্ত আমাকে জোরাজোরি করলো রিসিভ করার জন্য।শান্ত বলে কোনো ইমারজেন্সি কল ও তো হতে পারে।আমি কোনো মতে শান্তকে ভুল বুঝিয়ে নিজের রুমে এসে সোহেল ভাইয়া কে কল দিলাম।সোহেল ভাইয়া যা বললো তাতে আমার পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো



সোহেল ভাইয়ার একটা বন্ধুর নাকি চরিত্র খুব ই খারাপ।সে মেয়েদের রুমে যায় টাকার বিনিময়ে।সেই ছেলেটা নাকি আজ একটা মেয়ের রুমে গেছিলো আর তার উলঙ্গ কিছু ছবি ও তুলে এনেছে।সোহেল ভাইয়ার বন্ধু সোহেল ভাইয়া কে বলে তোর তোর তো মন খারাপ থাকে আমার মতো টাইম পাস কর মন ভালো থাকবে।সোহেল ভাইয়া কে এক প্রকার জোরাজুরি করে ছবি গুলো দেখাই।সোহেল ভাইয়া ছবি গুলো দেখে নিজেকে সংযত রাখতে পারে নি কারণ ছবিতে মেয়েটি পিহু আপু ছিলো।
সোহেল ভাইয়ার শরীরের পশম গুলো খাড়া হয়ে গেছিলো ছবি গুলা দেখে।


সোহেল ভাইয়ার কথা শুনে আমার পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছিলো। কিহ! আমাদের পিহু আপু সে আজ যৌনতায় লিপ্ত।তাও টাকার বিনিময়ে কিন্তু কেনো?কেনো আজ তাকে এত নিম্ন রাস্তায় নামতে হলো।আমি তো ভেবেই পাচ্ছিলাম নাহ কি কারণ হতে পারে।আজ তো পিহু আপুর তার ভালবাসার মানুষের সাথে সাংসার করার কথা তাহলে কি পরশ ভাইয়ার বড় কোনো অসুখ বা অন্য কিছু ঠিক কি কারণ হতে পারে যার জন্য টাকার এত প্রয়োজন পিহুর।তাছাড়া পিহু আপু তো যাওয়ার সময় নগদ পাঁচ লাখ টাকা সহ সমস্ত গহনা নিয়ে গেছে মাত্র এ কদিন এ সব টাকা কিভাবে শেষ হতে পারে।
একাত্ম ভালবাসা
একাত্ম ভালবাসা
সোহেল ভাইয়ার কথা গুলো আমার কানে বাজছে।সোহেল ভাইয়ার বুক ফাটা আর্তনাদ আমি স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি। ভালবাসার মানুষ টার এত অবনতির কথা শুনলে কারোর ই মাথা ঠিক থাকার কথা নয়।সোহেল ভাইয়া প্রচন্ড ছটফট করছে। আজ তার এত টাকা থাকতেও তার ভালবাসার মানুষ টাকার বিনিময়ে এসব করছে।আর মামা মামি জানলে আত্মহত্যা করবে লজ্জা আর ঘৃনায়।
কি করা যায় ভেবে কোনো উপায় পেলাম নাহ।যে অশালিন ছবি গুলো সোহেল ভাইয়া আমাকে পাঠিয়েছে তা দেখে আমি যেন নিজের চোখ কেই বিশ্বাস করতে পারছি না।পিহু আপু অত্যান্ত৷ ভদ্র একটা মেয়ে কি ঘটে গেলো তার জীবনে সেটা আমাকে জানতেই হবে।
পরের দিন খুব ভোরে সোহেল ভাইয়ার অফিসে গেলাম আমি। আর ভাইয়াকে বললাম ভাইয়া ইমিডিয়েট পিহু আপুর সাথে যোগাযোগ করেন।আপনার ওই বন্ধুর সাথে কথা বলেন পিহু আপুর ঠিকানা বাইর করেন।
দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে সোহেল ভাইয়া বলেন সে চেষ্টা আমি তুমি বলার অনেক আগেই করেছি মৌ।পিহু কোনো হোটেল এ থাকে না ওর নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই ওর।ও কারো অধীনে দেহ ব্যবসার কাজ করে আর তার সাথেই যে কোনো জায়গা তে যায়।বুঝতে পারলাম এভাবে খুজে পাওয়াটা সহজ হবেনা পিহু আপুকে।
এদিকে সোহেল ভাইয়া তার মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পিহু আপু কে খুজতে।
আমি পিহু আপুকে খোজার কাজে ব্যস্ত।এদিকে শান্তকে তেমন একটা সময় দিতে পারি না।আর আমি সারাদিন কেনো ব্যস্ত থাকি কি করি সেটা নিয়ে জানতে চাই।কিন্তু পিহু আপুর ব্যাপার টা জানলে শান্ত কিভাবে নিবে এটা ভেবে আমি আর ওকে তেমন কিছু জানায় না।
এটা নিয়ে শান্ত রাগারাগি করে বাইরে চলে যায়।হটাত ওর বন্ধুর কল পেয়ে আমি ছুটে যায় হসপিটালে।
শান্তর এক্সিডেন্ট হয়েছে ওর বন্ধুর ফোনে আমি পাগলের মতো ছুটে চলে যায় হসপিটালে অচেতন শান্ত কে দেখে আমি নিজেকে অটকাতে পারছিলাম না।কাছে ছুটে গিয়ে বললাম তোমার কি হয়েছে শান্ত আমি তোমাকে বড্ড ভালবাসি নিজের প্রাণের সমান ভালবাসি শান্ত।তুমি চোখ খোলো প্লিজ।আমার এক মুহুর্তের জন্য মনে হচ্ছিলো আমার প্রাণের বিনিময়ে যেন শান্ত সুস্থ হয়ে ওঠে।ওর বুকে নিজের মাথা রেখে কাঁদছিলাম তখন শান্ত চোখ খুলে বলে এই পাগলী আমি মজা করছিলাম আমার কিছু হয়নি।আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে এত ভালবাসো আমাকে বৌ পাখি টা।
আমি চুপ।
আরে পাগলি আর কাঁন্না নয়।সামান্য চোট লেগেছে।এত গুলা মানুষের মাঝে জড়িয়ে ধরলে লজ্জা করলো না।আমি বেশ লজ্জা পেলাম তখন।শান্ত কে নিয়ে বাসায় ফিরলাম।
বেশ কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর মামার ব্যবসায়ের একটা জরুরি কাজ পড়ে যায় মালায়েশিয়াতে।এদিকে শান্ত ছাড়া যাওয়ার কেউ নেই আর।শান্তর আমাকে ছেড়ে যেতে মোটেও ইচ্ছা হচ্ছিলো না।আমার জোরাজোরি তে তাকে যেতে হলো।শান্ত বার বার বলছিলো আমি তোমার থেকে দূরে গেলে তোমাকে হারিয়ে ফেলবো আমি আমি বললাম ওই আমি কি মরে যাবো হ্যা যে হারিয়ে ফেলবা।আর আমি মরে গেলেও ওপারে অপেক্ষা করবো বুঝলে গুন্ডা।আমার মুখে মরার কথা শুনেই খুব ই রেগে গেলেন তিনি রাগে আমাকে সত্যি সত্যি মেরে ফেলতে পারলে হয়তো সে শান্ত হতো।দেখতে দেখতে ওর যাওয়ার সময় হয়ে এলো।শান্ত কে বিদাই দিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিলো মনে হচ্ছিলো যেনো আমরা পৃথিবীর দুই প্রান্তে চলে গেছি।
কে জানতো এই দূরে যাওয়া থেকেই আমাদের দূরত্ব শুরু,,,,,,,
চলবে,,,
Share:

একাত্ম ভালবাসা

🍀
অবশেষে শান্তর সাথে আমার রিলেশন টা ঠিক হলো।আমাকে ভুল বোঝার আগুনে শান্ত অনুতপ্ত খুব।কারণ ও আমাকে ওর প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসে।এদিকে বাড়ির পরিবেশ টা বেশ স্বাভাবিক।সবাই যে যার মতো কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।অনেক খোজাখুজির পরেও পিহু আপুর কোনো সন্ধান আর পাওয়া যায় নি।সবাই সব ভুলে স্বাভাবিক হলেও শুধু স্বাভাবিক হতে পারে নি সোহেল ভাইয়া।
উনার চোখের ঘুম সেদিন ই নষ্ট হয়েছে যেদিন পিহু আপু বিয়ের আসর ছেড়ে ঘরভর্তি লোকের মাঝে সোহেল ভাইয়া কে কষ্ট আর অপমান দিয়ে চলে গেছিলো।
একাত্ম ভালবাসা
একাত্ম ভালবাসা
সোহেল ভাইয়ার কথা ভেবে আমার নিজের ই কেমন একটা দম বন্ধ কষ্ট লাগে।পিহু আপু আর সোহেল ভাইয়া অনেক সময় কাটিয়েছে এক সাথে শপিং পার্ক রেস্টুরেন্টে খাওয়া স্পেশাল সময় কাটানো কিন্তু এ সব কিছু পিহু আপুর কাছে অভিনয় ছিলো আর সোহেল ভাইয়ার কাছে ছিলো সত্যি কারের ভালবাসা।আজ অনেক দিন পরে সোহেল ভাইয়া মামাদের বাড়িতে আসছে মামার দেওয়া আংটি আর চেইন টা ফেরত দিতে।সোহেল ভাইয়া আসবে বলে বাড়িতে অনেক রান্না ও হলো।
সোহেল ভাইয়া এসে আমার রুমে এলো মানে যে রুম টায় আমি আর পিহু আপু থাকতাম।রুম টা আসলে পিহু আপুর ই।দরজায় নক দিতেই আমি বুঝলাম এটা সোহেল ভাইয়া কারণ তার আসার কথা আছে আজ।
আমি দরজা খুলেই দেখি সোহেল ভাইয়া।
আরে ভাইয়া কেমন আছেন?
তুমি তো জানোই আমি কেমন আছি মৌ।
আমি কি উত্তর দিবো সেটা অজানা ছিলো।
বললাম ভাইয়া আসুন না বসুন।সোহেল ভাইয়ার মুখ টা খুব ই মলিন।এখনি হয়তো কেঁদে দিবে।আমার দিকে তাকাতে পারছে না নিজের চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করছে।আমি সিসুয়েশন ঠিক করার জন্য বললাম ভাইয়া কফি এনে দেই।
ভাইয়া বলে থাক মৌ।এই নাও তোমার জন্য কিছু চকলেট আর ফুল এনেছিলাম।ভাইয়া জানে আমি চকলেট ভালো খাই।জানো মৌ এই রুমে দাঁড়িয়ে পিহু কত স্বপ্ন আমাকে দেখিয়েছে।আমাকে ছাড়া নাকি ও বাঁচবে না।আমার ভালবাসা ছাড়া নাকি ওর জীবন অসম্পূর্ণ। পাঁচ মিনিট পর পর ফোন কল আমাকে বুঝতেই দিতো না সে আমাকে ভালবাসে না।ওর মনে যখন এটাই ছিলো তাহলে আমাকে কেনো ভালবাসার স্বপ্ন দেখালো।আমি কিভাবে বাঁচবো বলতে পারো মৌ।
আমি ভাইয়ার মন কে সান্তনা দিতে ভাইয়া কে বললাম ভাইয়া আপনি কম কিসে শুনি।আপনি আরো ভালো কাউকে পাবেন।তবে পিহু আপু ও একদিন নিজের ভুল বুঝে আপনার কাছে ফিরে আসবে।বাট সেদিন কি আর আপনার কাছে জায়গা পাবে।ভাইয়া কে পরীক্ষা করার জন্য বললাম।
ভাইয়া বলে হ্যাঁ মৌ ওর জায়াগা আমার কাছে চিরকাল ই থাকবে।
কিছুক্ষণের মাঝেই মামা আর মামি আর শান্ত নাস্তা নিয়ে রুমে আসে।সোহেল ভাইয়া অনেক কষ্ট নিয়ে চেইন আর আংটি নিয়ে মামার হাতে দিয়ে বলে বাবা আমাকে ভুল বুঝবেন না।আমি আপনার ছেলে হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু যাকে নিয়ে সেতু বন্ধন করবো সেই তো বন্ধন ভেঙে চলে গেছে।মামা মামি আর সোহেল ভাইয়া সবাই কাঁদছে।মামা সোহেল ভাইয়ার হাত ধরে বলে আমি তোমাকে কষ্ট ছাড়া দিতে পারি নি আমি আর কতদিন বা বাঁচবো কিন্তু আমার একটা অনুরোধ আছে বাবা তুমি আমার দেওয়া উপহার ফেরত দিও না।জানি এ আবদার আমার অন্যায় একজন বাবা হিসাবে এটা আমার দাবি তোমার কাছে প্লিজ বাবা এটা ফেরত দিও না।মামি আর শান্ত ও অনেক অনুরোধ করলো সোহেল ভাইয়া সবার রিকুয়েষ্ট ফেলতে পারলো না।
ভাইয়া তো কিছুই খাবে না অনেক জোরাজুরির পরে সামান্য কিছু খেয়ে বিদাই নিলো।
রাত ১০ টায় আমি আর শান্ত মামা আর মামি কে লুকিয়ে ছাদে গল্প করছি।শান্ত আমার হাত ধরে বলে আমার পাগলি টা তোকে অনেক কষ্ট দিয়েছি তাইনা।নে আমাকে শাস্তি দে যতদিন বেঁচে থাকবো তোর দেওয়া শাস্তি মাথা পেতে নিবো।
ইশ রে শাস্তি পাওয়ার খুব শখ হইছে তাইনা।
যেদিন অন্য জায়গা বিয়ে করবো সেদিন শাস্তি কি বুঝবা।
শান্ত রেগে একটা গালি দিয়ে বলে কি বললি তুই আমার না হলে তোকে খুন করবো তবুও অন্য কারো হতে দিবো না।শোন তুই আমার না হলে সব কিছুতে আগুন লাগিয়ে দিবো আমি।
তাই এত্ত ভালবাসো আমাকে।
যতটা জানিস তার চেয়ে বেশি ভালবাসি রে পিচ্চি বউ পাখি টা।
এর ই মাঝে সোহেল ভাইয়ার ফোন।ভাইয়া আমাকে যা বললেন আমি তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।
চলবে।
Share:

একাত্ম ভালবাসা

🍁
বাড়িটা নিমিষেই ফাঁকা হয়ে গেলো।আলো দিয়ে সাজানো বাড়িটা নিমিষেই অন্ধকার হয়ে গেলো।একটা মৃত্যু শোক কে হার মানানোর মতো বেদনা মামা মামি আর শান্তর চোখে।ওদের মুখের দিকে আমি তাকাতে পারছি না।
শান্ত আমাকে বকলেও মামা মামির সামনে আমার কথা প্রকাশ করে নি।কারণ ও চাই নি বাকি সবাই আমাকে ঘৃনা করুক।
একাত্ম ভালবাসা
একাত্ম ভালবাসা
মামা বলে দিয়েছে আজ থেকে আমার একটাই মেয়ে মৌ।পিহু নামের কেউ এ বাড়িতে কোনদিন ছিলো না।পিহুর কোনো অস্তিত্ব আজ থেকে এ বাড়িতে থাকবে না।মামা অনেক কষ্ট পেয়ে নিজের মন কে পাথর বানিয়ে ফেলেছে।এদিকে মামি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।ডাক্তার এসে চেক করে বলে গেছেন মামির প্রেসার অনেক বেড়ে গেছে।বাড়ির সবার মন মানসিকতা ভালো নেই।
পিহু আপু ১০ ভরি গহনা সহ ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
মামা রুমের লাইট অফ করে চেয়ারে বসে মাথায় হাত দিয়ে চিন্তা করেই যাচ্ছেন।আর মামি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে আছে।রাত ১০ টা বাজে শান্ত ছাদে ৩০ টা সিগারেট খেয়ে আরেক টা মুখে ধরানো আছে।জ্বলন্ত সিগারেট এর চেয়ে ওর ভেতর বেশী জ্বলে যাচ্ছে।
আমি ওর সামনে গিয়ে বলি তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।শান্ত অগ্নি শিখা চোখ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলে তুই এখানে,, দূর হয়ে যা বলে কয়েক টা বাজে গালি শুনিয়ে দিলো যা আমি শান্তর মুখে কখনো শুনি নি।এত বাজে গালি ও দিতে পারে সেটা আবার আমাকে।আজ ওর মাথা ঠিক নেই ওর ভুল টা আমাকে ভাঙাতেই হবে।আমার কিছু বলার আছে তোমাকে প্লিজ একবার শোনো,,শান্ত বলে তোর মতো বেঈমান এর মুখ আমি দেখতে চাই না।আর কোনদিন আমার সামনে আসবি না আবার ও বললাম।আর শোন আমি তোকে রাগে এসব বলছি না তোকে আমি আর ভালবাসি না।আর আমি জানি না কেনো জানি তোমাকে আমি সহ্য করতে পারছি না।আমার কাছে পৃথিবীর বিরক্তিকর একটা শব্দ মৌ।নিজের আত্মসম্মান বলে কিছু থাকলে আমার কাছে ন্যাকামি করে নিজের দোষ ঢাকতে আসবে না।বলেই ছাদ থেকে চলে গেলো আমার দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়ে।
আমি ওর কাছে এসেছিলাম এই বিশ্বাসে আমি ওকে বুঝিয়ে বললে আমার কথা ও নিশ্চয়ই শুনবে আর দুপুরের জন্য সরি বলে বুকে টেনে নিবে।চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে আমার।আমার সব ভাবনা আজ ভুল প্রমানিত হয়েছে।আমি যেন ছাদ থেকে একা নামতেই পারছিলাম না।আমি কি আর কোনদিন শান্ত কে বুঝাতে পারবো না।সারারাত দু চোখের পাতা আমার এক হলো না।কোনভাবে রাত টা পার হলো।সকালে আমি সবার জন্য নাস্তা রেডি করি মামা মামি কে কোন মতে খাইয়ে নিলাম কিন্তু শান্ত ভীষণ রাগি চোখে তোর বানানো খাবার আমি জীবনে খাবো না বলেই বাইরে চলে গেলো। সারাদিন বাইরে থেকে রাতে বাসায় এলে আমি রুমে খাবার দিয়ে আসলে আমার মুখের উপর খাবার ফেলে দিলো।
আমি প্রতিনিয়ত তাকে বুঝানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছি কিন্তু তার খারাপ ব্যবহার এমন কি আমার হাতের এক ফোঁটা পানি ও সে মুখে দেই নি।আমার দিকে ফিরেও তাকায় না সে।সকালে বাড়ি থেকে বেরোই আর রাতে ফিরে আসে।
এভাবে কেটে গেলো ২০ দিন আমার কলেজ এতদিন অফ ছিলো।কলেজ খুলেছে শান্ত আর আমাকে এখন কলেজে নিয়ে যায় না।আমাকে একাই কলেজ যেতে হয়।ও কলেজে যায় বাট আমার এরিয়া দিয়েও হাঁটে না।এভাবে দিন কাটছিলো দিনের পর দিন ওর অবহেলায় আমি কষ্ট পাচ্ছিলাম।ভালবাসার মানুষের করা অবহেলা কতটা ভয়ানক যন্ত্রনা দেই আমি বুঝছিলাম।কবে ওর ভুল ভেঙে আমার কাছে আসবে। আজ ২৮ দিন হয়ে গেছে ও আমার সাথে কথা বলে না। ওর খারাপ ব্যবহারের কারণ মামা মামি ও খুব অবাক হয়।তারা ধীরে ধীরে বুকে পাথর বেধে পিহু আপুর জন্য কষ্ট পাওয়া ভুলে গেছে।
এদিকে সোহেল ভাইয়া মানসিক কষ্ট আর যন্ত্রনায় ভুগছে। সোহেল ভাইয়ার সাথে আমার খুব ভালো একটা রিলেশন হয়েছে।সোহেল ভাইয়া পিহু আপুকে প্রচন্ড ভালবাসে।তার ভালবাসার মানুষ বিয়ের দিন তাকে ছেড়ে সেই কষ্টের মতো কোনো কষ্ট আর নেই।
সোহেল ভাইয়া ফোনে আমার সাথে কথা বলে।উনার একাকিত্ব বেদনা গুলো শেয়ার করে আমার সাথে।এমন কোনো রাত নেই সে কাঁদে না।
সেদিন খুব ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিলো আমি বাইরের বাগাবে দাঁড়িয়ে ভিজছিলাম হটাত ই পিছন থেকে কেউ আমাকে ডাকে আমি পেছন ঘুরে দেখি শান্ত ভেজা চুপচাপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমার দিকে।অঝর বৃষ্টিতে ওর চোখের বৃষ্টি তবুও বোঝা যাচ্ছিলো ওকে দেখেই আমি চলে যেতে যায় শান্ত আমার হাত টেনে ধরে আমার পায়ের নিচে হামাগুড়ি দিয়ে পড়ে আমাকে মাফ করে দাও আজকের পর আমি আর এ পৃথিবীতে থাকবো না বউ পাখি আমি তোমার ফোনের মেসেজ পড়ে আজ বুঝেছি তোমার কোনো দোষ নেই।আমি যে অন্যায় তোমার সাথে করেছি তার ক্ষমার যোগ্য আমি নাহ তাই আমি মরে যেতে চাই।ভেবেছিলাম খুব রাগ করবো কিন্তু পারলাম না ওর মুখে মৃত্যু কথা টা শুনে আমি সুন্দর করে হেসে দিলাম ওর কষ্ট কমাতে।আমি ওকে মাটি থেকে উপরে উঠিয়ে বলি পাগল টা আমি জানি তুমি রাগে এসব করেছো তাই রাগ করি নি।অভিমান হচ্ছিলো খুব কিন্তু শান্ত কে দেখে বুঝছিলাম ও আমার চেয়ে বেশী কষ্ট পেয়েছে।
চলবে,,
Share:

একাত্ম ভালবাসা

#একাত্ম_ভালবাসা
#পার্টঃ৯
#writerঃমৌসুমি_আক্তার

🍁
শান্ত আমার হাতে একটা চিঠি তুলে দিলো।

এমনি তেই আমার মনের মাঝে ভীষণ অশান্তি হচ্ছে।আজ বাড়ির সমস্ত আত্মীয় বরযাত্রী সবার কাছে মাথা ছোট হয়ে যাবে মামা মামির।মামার মুখের দিকে চাইলে মনে হচ্ছে এখনি প্রেসার বেড়ে যাবে। নিজের জন্য এ বাড়ির এত সর্বনাশ।পিহু আপু এটা কি করলো।
একাত্ম ভালবাসা
একাত্ম ভালবাসা

শান্তর দিকে তাকানোর সাহস আমার নেই। চড় মেরেছে কেনো তাও জানিনা।পিহু আপুর চিন্তায় সেটাও শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে না।ভাবনার ঘোরে আমি অন্য জগতে চলে গেছিলাম।

হটাত ই শন্ত বলে ওঠে তুই এতটা জঘন্য আগে জানতাম না।তোর জন্য আমার বাবার সম্মান আজ ধুলোর সাথে মিশে গেছে।তুই কারো মেয়ে হওয়ার যোগ্য না।তুই কারো বোন হবার ও যোগ্য না তাহলে এভাবে ক্ষতি টা করতে পারতি না।এই পিহু কি তোর ও বোন না।আমরা কি তোর পর।কাল অবধি তুই আমার কলিজা ছিলি কিন্তু আজকের পর আমার মন থেকে তোর মতো বেঈমান এর ভালবাসা আমার মন থেকে মুছে দিয়েছি।

শান্তর কথা টা শুনে আমার বুক টা চিন চিন করে উঠলো যে কিনা কাল রাতেও আমার সাথে আকাশের তারা গুনেছে আর আজ সে আমাকে এতটা ঘৃনা করছে কি আছে এ চিঠিতে।

আমি চিঠিটা খুলে দেখি সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে,,

মা বাবা ভাইয়া আমাকে তোরা ক্ষমা করে দিস।আমি পরস কে খুব ভালবাসি।আমি অন্য কাউকে মেনে নিতে পারবো না।আজ যদি মৌ না থাকতো আমি আমার ভালবাসার মানুষের কাছে পৌছাতে পারতাম না।মৌ আমাকে সব সময় সাপোর্ট করেছে আমার পাশে থেকেছে আমার মনোবল বাড়িয়েছে।মৌ আমার ব্যাপারে সব টা জানতো। আজ আমি মৌ সাহায্য বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলাম।
আমাকে ক্ষমা করে দিও।

চিঠিটা পড়ে আমার হাত থেকে চিঠিটা পড়ে গেলো।চিঠিতে যা লেখা তাতে আমার নিজের বিরুদ্ধে সত্যতা প্রমান করার মতো কোনো রাস্তা নেই।আজ আমি নির্দোষ কিন্তু সেটা প্রমান এর মতো কোনো কিছু আমার কাছে নেই।

আমার সাথে পিহু আপু বাইরে গেছে সেটা আমি শান্ত কে জানিয়েছিলাম।শান্তর চোখে ছলছল পানি যেন হৃদয় ছিড়ে যাচ্ছিলো যন্ত্রনায়।

আমি শুধু শান্তকে একটাই কথা বলেছিলাম একদিন প্রমান হবে আমার কোনো দোষ নেই।

এদিকে বরযাত্রী তাড়া দিচ্ছে যে মেয়ে কোথায়?চারদিকে কানাকানি হয়ে গেছে বিয়ের কনে নিঁখোজ।বরযাত্রী রা মুখে থু থু ছিটাচ্ছিলো।যা তা মান অপমান করে তারা বিদায় নিলো।

খুব কষ্ট হচ্ছিলো সেই মানুষ টার জন্য যে পিহু আপুকে বিয়ে করতে এসেছিলো।সোহেল ভাইয়া অনেক ভালো একজন মানুষ। সোহেল ভাইয়ার দু চোখ ভরা পানি।তার বুক ফেটে যাচ্ছিলো কষ্টে। সোহেল ভাইয়া ৬ মাস পিহু আপুর সাথে ফোনে কথা বলেছে।সে পিহু আপুকে প্রচন্ড ভাল বেসে ফেলেছে।পিহু আপু এভাবে তাকে ফাঁকি দিবে সেটা তার কল্পনার বাইরে ছিলো।সোহেল ভাইয়ার অনেক বন্ধু এসেছিলো বিয়েতে।সোহেল ভাইয়া একজন ডাক্তার মামা পিহু আপুর জন্য একজন যোগ্য পাত্র খুজে এনেছিলো কিন্তু পিহু আপু হিরা আর কাচ চিনতে ভুল করেছে।সোহেল ভাইয়ার বুকের মাঝের ঝড় টা বাইরে থেকে অনুভব করা যাচ্ছিলো।সোহেল ভাইয়া এতদিনে এ বাড়ির একজন ছেলে হয়ে উঠেছিলো সবার দু চোখ ভরা স্বপ্ন ছিলো এই দিন টা ঘিরে।সোহেল ভাইয়া যাওয়ার সময় একটা কথা বলে বিদায় নিলো পিহুর আমার কথা মনে পড়বে একদিন।আমার মনের মাঝে পিহু ক্ষত বিক্ষত করেও যদি সুখি না হয় আমাকে যেন একবার ডাক দেই আমি গ্রহন করবো।একটা ছেলের হৃদয় কতটা বড় হলে এভাবে ভাল বাসতে পারে।আমি অসহ্য যন্ত্রনা টা সহ্য করতে পারছিলাম না।

বর যাত্রী আত্মীয় সবাই বিদাই নিলো।এ বাড়ির মুখে চুন কালি দিয়ে বিদাই নিলো সবাই।যা তা ভাবে কথা শুনিহে বিদাই নিলো সবাই।

মামা আর মামির মুখের দিকে তাকানোই যাচ্ছে না। একজন অসহায় বাবা লাগছিলো তাকে।বুক ভাঙা আর্তনাদ একজন বাবার।নিজের কলিজার টুকরা মেয়ে যদি এভাবে কষ্ট দিয়ে চলে যায় বাবার সম্মান আর কষ্টের কথা একবার ও না ভাবে কখনো আর কোনো বাবার মেয়ে সন্তানের প্রতি ভালবাসা জন্ম নিবে নাহ।

চলবে,,

অনেক ব্যাস্ততার সাথে লিখেছি বানানে ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
Share:

একাত্ম ভালবাসা

(সব সময় নিজের পছন্দ সঠিক নাও হতে পারে।আমরা ভুল মানুষকে অনেক সময় ভাল বেসে ফেলি এই পর্ব থেকে বাকি পর্ব গুলাতে পাবেন)
কাল পিহু আপুর বিয়ে। বাড়ির সবাই মহা আনন্দে আছে।এদিকে বিয়ের দিন সকালে পিহু আপুর অনুরোধ এ পিহু আপুকে পরশ ভাইয়ার সাথে দেখা করাতেই হবে।হাজার টা চিন্তা মাথায়।দেখা করানো টা ঠিক হবে না ভুল হবে বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
গায়ে হলুদের অনুষ্টান শুরু।শান্ত এসে আমার গালে হলুদ মাখিয়ে দিলো।আর বললো এত সুন্দর ভাবে সেজেছো কেনো সবাই হা করে চেয়ে আছে।শান্ত অনেক বার আমাকে অনুরোধ করেছে আমার মুখে ভালবাসি কথাটি শোনার জন্য।এতদিন আমি ওর ভালবাসা বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকতাম।আজ আমার ও মনটা বড় উতালা ইচ্ছা করছে চিৎকার দিয়ে শান্ত কে বলি আমি তোমাকে বড্ড ভালবাসি।কিন্তু লজ্জায় সেটা পারছি না।এদিকে শান্তর বোনের বিয়েতে ওর অনেক বন্ধু চাচাতো ভাইয়েরা এসেছে।তাদের মাঝে একজন তনু ভাইয়া আছে সে অনেক দিন ধরেই আমাকে একটু আধটু করে পছন্দ করতো।গায়ে হলুদের অনুষ্টানে আমি হলুদের পোশাক পরেছি শান্ত অপলক দৃষ্টি দেখছে ওর যেন দেখার ক্ষুদা মিটছেই না।
একাত্ম ভালবাসা
একাত্ম ভালবাসা
পিহু আপুর হলুদ সন্ধা অনুষ্টান শুরু হলো। আউট হাউজে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে সেখানে নাচ গানের আসর জমেছে।সবাই সেদিকে বিজি আছে।এদিকে তনু ভাইয়া আমার হাত ধরে হেঁচকা টান দিয়ে আমার সাথে অসভ্যতা করার চেষ্টা করছিলো সেটা আবার শান্ত দেখে নেই,,,শান্ত দেখেই তনুর দুই গালে ঠাসসসস শব্দে দুইটা মেরে দেই আর বলে কাল বিয়ের অনুষ্টান মিটে যাক তোর বিচার আমি নিজে করবো।তনু শান্তর হাতে পায়ে জড়িয়ে ধরে মাফ চাই,,,কিন্তু আমি জানতাম আমাকে স্পর্শ করেছে এতে শান্তর মাথায় খুন চড়ে যাবে ও কিছুতেই তনু কে ক্ষমা করবে না।মারামারি,,,কোপানো এসব শান্তর রোজকার অভ্যাস তাই বাড়াবাড়ি কিছু করার আগে আমি শান্ত কে টেনে বাড়ি তে নিয়ে আসি।আমি শান্তকে বলি প্লিজ ঠান্ডা হও।শান্তর চোখ মুখ দিয়ে ভয়ানক অগ্নিশিখা বেরোচ্ছে এই রাগ না কমালে আবার কি একটা বাধিয়ে জেলে যাবে।আমি কোনো উপায় না পেয়ে শান্তকে ওর নিজের রুমে নিয়ে গেলাম।বাড়িটা পুরাই ফাঁকা প্রকৃতি আমাকে ইশারা করছে শান্তকে ভালবাসার জন্য।শান্তর রাগ ওই মূহুর্তে ঠান্ডা করার মেশিং ওই একটাই পথ আছে আমাকে ওর ভালবাসার প্রতি উত্তর টা দিতে হবে।আমিও তোমাকে ভালবাসি প্রিয়।
রাগি আগুন পাখি শান্ত বেড এ বসে আমি ওর পায়ের নিচে বসে বললাম একবার আমার দিকে তাকাবে,,,, কিন্তু ও কিছুতেই আমার দিকে চাইছে না,,,
এই শোন তুই দূর হ আমার চোখের সামনে থেকে।সব সময় তোর বাড়াবাড়ি এ ভাইয়া সে ভাইয়া তোর কি ভাইয়াতে মন ভরে না।আমি না কতদিন তোকে নিষেধ করেছি ওদের সাথে মিশবি না।ওরা তোর দিকে খারাপ নজর দেই।আমি বলেছিলাম না আমার আশে পাশে থাকবি তুই।একটা চড়ে তোর গাল লাল করে দিই।
শান্ত রেগে মেগে আমাকে এক গাল কথা শুনিয়ে দিলো।
ইসসসস কি সাহস মারবে আমি বুঝি বসে থাকবো আমাকে মারলে।
আহহহহহ কি আমি না তোর বড় তুই আমার গায়ে হাত তুলবি।
হ্যা আমার গায়ে হাত দিলে আমিও দিবো।
অমনি শান্ত ঠাসসস শব্দে মোটামুটি কম ব্যাথার একটা চড় কষিয়ে দিলো।
আমি সাথে সাথে উঠে তবে রে বলে শান্তর ঠোঁটে আলতো করে একটা কিস করে দিলাম।শান্তর হার্টবিট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার এ বইছিলো সেটা শান্ত নিজেই বুঝছিলো না।বুকের মাঝে ধুকপুকানি শব্দ হচ্ছিলো।নদীর দুপাশ ভাঙনের শব্দ শান্তর কানে বাজছিলো।কারন সে এটা আশা করে নি।আর এটা কখনো হতে পারে শান্তর কল্পনার বাইরে ছিলো।এটা কি একটা শুধুই কিস ছিলো নাকি শান্তকে কন্ট্রোলহীন করার অস্ত্র ছিলো।এক মিনিটে শান্তর ভাবনার জগত আর রাগ সব হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো।
কি হলো ও গুন্ডা।
শান্ত এক নজরে চেয়ে আছে আমার দিকে।তুমি কি কিচ্ছুক্ষণ আগে আমাকে কিস করেছিলো।
কেনো তুমি বুঝতে পারো নি।
ওয়েট আবার করছি বলেই উম উম করে ওর চোখে মুখে ছোট ছোট অনেক গুলা চুম্বন এঁকে দিলাম।নিমিষের শান্ত নিজেকে হারিয়ে ফেলে কারণ ওর কাছে বহুপ্রতাাশিত এই মুহূর্ত টা। ওর আস্তে আস্তে আমার হাত টা ধরে আমার নিঃশ্বাস এর কাছে চলে আসে গলা কাঁপাকাঁপা গলায় সে আমাকে বলে তুমি আমাকে কিস করে খুন করে ফেলেছো।আমি শান্তর কানে কানে বলি আমি তোমাকে ভালবাসি শান্ত বড্ড ভালবাসি।শান্ত সাথে সাথে আমাকে উচু করে ধরে বলে তুমি জানো আজ আমি পৃথিবীর সব থেকে হ্যাপি মানুষ এই মোমেন্ট টা এই রুমে নয় স্পেশাল কোথাও গিয়ে কাটাতে চাই।
শান্তর বাইকে সেদিন রাতে সেই কাশবনে গিয়েছিলাম।দুজনে হাত ধরে বসে অনেক গল্প করেছিলাম।নিজেদের একাত্ম সময় টা আর ভালবাসার সাক্ষি হিসাবে আকাশের চাঁদ টা ছিলো।শান্তর বুকে মাথা রেখে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় টা কাটিয়েছিলাম।আমাদের ভালবাসা সেদিন পূর্ণতা পেয়েছিলো।
হাতে হাত ধরে দুজনে প্রমিজ করেছিলাম মৃত্যুর আগে দুজন দুজন কে ছাড়বো না।
ভালবাসা ময় হয়ে উঠেছিলো দুজনের পৃথিবী।
কিন্তু কথায় আছে সুখ বেশী দিন কারো কপালে সহ্য হয় না।আমার ক্ষেত্রে ও ঠিক তাই হয়েছিলো।
দুজনে ভোর রাতে বাসায় ফিরলাম।
এদিকে পিহু আপু কে নিয়ে বাইরে যেতে হবে পরশ ভাইয়ার সাথে দেখা করানোর জন্য।বাড়ির কাউকে বললে রাজি হবে না।তাই দুজনে লুকিয়ে লুকিয়ে গেলাম।যে সকাল ৮ টার আগে ফিরে আসবো সবাই ঘুম থেকে ওঠার আগেই।
পরশ ভাইয়ার ফ্রেন্ড রা বাইক নিয়ে এসেছিলো তাতে উঠেই আমরা চলে যায়।পিহু আপু একান্তে কিছু কথা পরশ ভাইয়ার সাথে কথা বলতে গিয়ে আর আসে না।যেখানে ৮ টায় ফেরার কথা সেখানে ১০ টা বেজে গেছে ওরা আর ফিরেই আসে না।এদিকে বরযাত্রী ১২ টায় আসবে বাসায় সবাই খোজাখুজি শুরু করেছে হয়তো।আমি পিহু আপুকে খুজেই যাচ্ছি আর ফোন ও অফ বলছে চিন্তায় আমার ঘাম বেরোচ্ছে।আপু এতো টা লেট করছে কেনো?এদিকে ১২ টা বেজে গেলো পিহু আপু আর ফিরে এলো না।কিছুক্ষণ পরে আমার ফোনে একটা মেসেজ এসছে মৌ আমার জন্য আর ওয়েট করিস না আমি বিয়ে করে নিয়েছি আর পরশ এর সাথে অনেক দূরে কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি।আব্বু আর ভাইয়া পরশ কে পেলে মেরে ফেলবে তাই আমি দূরে পালিয়ে গেলাম।আমাকে মাফ করে দিস আমি তোকে মিথ্যা বলে ঠকিয়ে চলে এসছি।তোকে মিথ্যা না বললে আমাকে হেল্প করতি না।নিজেকে ভীষণ অপরাধী লাগছে আমার জন্য মামা মামির শান্তর মান সম্মান সব নষ্ট হলো।
মন খুব ভারী করে বাড়িতে ফিরলাম।বাড়িতে এলেই সবাই আমাকে বলছে জানিস পিহু কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে বরযাত্রী চলে এসছে পিহু আপুকে খোজার জন্য চারদিকে লোক পাঠানো হয়েছে।
এর ই মাঝে শান্ত আমাকে হাত ধরে ডেকে নিয়ে বাগানে নিয়ে ঠাসসসসস শব্দে দুই গালে দুই চড় মেরে দেই।আর একটা চিঠি আমার হাতে তুলে দেই।
চলবে,,,,,,
Share:

একাত্ম ভালবাসা

🍁
শান্ত ভাইয়া আমাকে চুপ করিয়ে দিলেও আমার মাথা থেকে জুতার ভুত টা কিন্তু গেলো না।শান্ত ভাইয়া মাথায় আলতো করে একটা চড় মেরে বললো হইছে ভাবুক বুড়ি আর ভাবতে হবে না।
আরে ভাই পরশ কিছু মনে করিস না ওই পিচ্চি মেয়ে তো এখনো ছেলে মানুষি যায় নি ওর।পরশ শান্ত কে পাশের রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলে মেয়ে টা কে রে? তোর ফেসবুক কভারে না দেখতাম মেয়েটাকে
আমি অবাক হলাম আমার ছবি শান্ত ভাইয়ার ফেসবুক কভারে মানে।শান্ত ভাইয়ার তো প্রেমিকা আছে আমার ছবি কভারে দিবে কেনো? দেখি কি বলাবলি করছে ওরা আমি আড়ি পাতলাম।
শান্ত ভাইয়া বলে হ্যাঁ আমি প্রথম বার ওর আইডি টা দেখেই ক্রাশ খেয়েছিলাম।আইডি টা বার বার আমার সামনে আসতো।রিকুয়েষ্ট দিয়েছিলাম আজ ও ঝুলেই আছি আমি।এক্সেপ্ট করে নাই ফলোয়ার হয়ে আছি আজ ও তার। রোজ আপলোড করা পিক গুলা দেখতাম আর সেভ করতাম।আর বুঝতে পারতাম মেয়েটা এরিয়ার মাঝেই হবে নইলে আইডি টা বার বার চোখের সামনে আসে কেনো।ফেসবুকে এক বছর ওর ফলোয়ার হওয়ার পরে খেয়াল করি আমার ফুফাতো বোন ফুফা অন্যান্য রিলেটিভ ওর মিউচুয়াল।তখন আমি বুঝতে পারি যে আমার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে বলেই ওর আইডি আমার সামনে আসে।অনেক বার ভেবেছি ফুফা বা ফুফাতো বোন কে প্রশ্ন করবো মেয়েটাকে বাট লজ্জায় বলি নি কারণ ওরা ভাববে আমি সুন্দরী মেয়ে দেখে প্রেম করার জন্য খোজ খবর নিচ্ছি।
,
,আমি রোজ ওকে নিয়ে কবিতা লিখতাম নিজের মতো করে আমার ডায়রি তে।আমি জানতাম বাস্তব জীবনে ওই মেয়ে কে আমি পাবো না কারণ বিদেশ থাকে আমাকে পাত্তাই দিবে না।একটা সময় মন আর তর সইলো না আমি ঢাকায় ফুফি বাড়ি গেলাম শুধু মাত্র তাদের ফ্রেন্ড লিস্টের ওই মেয়েটা কে সেটা জানার জন্য।প্রথম দিন ফুফি বাড়ি গিয়ে ফুফাতো বোন কে কিভাবে প্রশ্ন টা করবো বুঝছিলাম না।শুধু অপেক্ষা করছিলাম নিউজ ফিডে থাকতে থাকতে কখন ওর আইডির কিছু একটা সামনে আসবে আর আমি প্রশ্ন করবো যে মেয়েটা কে?শুধু এতটুক কারণে আমি ঢাকায় ছুটে গেছিলাম ফাইনাল এক্সাম রেখে।
,
,
আমার অপেক্ষার প্রহর এক সময় সার্থক হলো হটাত ও একটা ছবি আপলোড করে ব্লাক ড্রেস পরে তখনি মৌ এর বড় বোন নিসু আপু বলে এই শান্ত দেখ আমার পুচকু টা কত বড় হয়েছে। আজ আবার নিউ ছবি পোস্ট দিয়েছে।আমি বলছিলাম পুচকু টা মানে।নিসু আপু বলে আরে তুই ভুলে গেলি ছোট বেলা যে তোর ঘোড়ায় উঠতো,, মানে কার কথা মৌ এর কথা বলছো।নিসু আপু বলে হ্যাঁ মৌ।
একাত্ম ভালবাসা
একাত্ম ভালবাসা

আমি আসলে তখন জানতাম না যে আমি যার খোঁজ করতে গেছি নিসু আপু ঠিক তার কথায় বলছে।
আমি অতটা আগ্রহ জানালাম না বললাম আরে মৌ এখন বিদেশী ম্যাম।গ্রাম্য এসব মামাতো ভাই কে কি আর তার মনে আছে আমি দেখে আর কি করবো।এমনি মেয়েরা ছেলেদের পাত্তা দেই না। আর সে এখন বিদেশি। নিসু আপু বলে ধুর পাগল মৌ এর সাথে কথা হলে বুঝবি না সে বিদেশী। আরে দেখ না এক প্রকার জোর করে নিসু আপু আমার সামনে ওর ছবি টা ধরলো। আমার বুক কেঁপে উঠলো আহ এইটা মৌ আমাদের মৌ।আমাকে এতটা এক্সাইটেড দেখে নিসু আপু বলে কিরে প্রথমে তো দেখবি না আর এখন এভাবে হা করে আসিছ কেনো রে। আমি বললাম না মানে ও এত কিউট হলো কবে রে আপু।
,
,
যাকে আমি বিগত এক বছর ধরে ভালবাসি সে আমার ফুফাতো বোন।আর আমি জানতেই পারলাম না।আমি তখন জানতাম না মৌ এর মন মানসিকতা কেমন হবে।ভাবতাম হিংসুটে বা দেমাগি হবে।তবুও মনে একটু শান্তি এলো যাক একদিন হলেও দেখা তো হবে।
,
,
আমি তারপর এক মাস থেকে গেলাম শুধু মাত্র মৌ এর গল্প শোনার জন্য।সারাদিন ওখানে কি করে,, কখন খাচ্ছে,, কখন ঘুমাচ্ছে,,এসব শুনতেও শান্তি লাগতো।আমি তখন নিসু আপু কে বলেই ফেলি আচ্ছা আপু এই পিচ্চি কে আর কতদুন বিদেশ রাখবা।নিসু আপু বলে এইতো দুমাস পরে একেবারে চলে আসবে।আমি বললাম আচ্ছা এখানে এলে আমাদের কলেজ টা ভালো ওকে ভর্তি করে দিও।আমি নিজে ওকে পড়াবো।এখানে এসে অন্য কলেজে ভর্তি হলে ছেলেরা ওর পিছু নিবে তাই আমার কলেজে ভর্তি করলে আমি দেখে শুনে রাখতে পারবো।খুব পাম দিয়ে আর বলে কয়ে আমি তাদের পটিয়ে মৌ কে এখানে নিয়ে আসি।
তখন পরশ ভাইয়া বলে আচ্ছা তোর এর হৃদয় উজাড় করা ভালবাসার কথা টা কি তোর মহারানী জানে।শান্ত ভাইয়া বলে আরে না। আমি ফিলিংস দিয়ে বুঝাবো ওকে। কখনো প্রপোজ করে ভালবাসার জন্য প্রেসার দিবো না।
আমার চোখের কোনায় অজান্তে এক ফোঁটা সুখের পানি।কারণ কেউ আমাকে এত টা ভালবাসে এটা আমার জানা ছিলো না।
ভাবতে ভাবতে হুট করেই রেগে গেলাম হুহ!ভালবাসা না ছাই।আবার রাত দিন যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারলেই বেঁচে যায় উনি।আমি এখন থেকে আরো বেশী মুড নিয়ে থাকবো যে আমার কোনো ফিলিংস নেই উনার প্রতি।দেখবো কতদিন যুদ্ধ করতে পারে।
শান্ত ভাইয়া যা সুন্দর করে কথা বলে ওনার কথার ধরণ টাই ওনার চেহারাটা আরো বেশী সুন্দর করে তুলেছে।
আমি তো আজ মহা খুশি। সত্যি বলতে আমার ভীষণ হ্যাপি লাগছিলো এত মুড আর ভাবওয়ালি ছেলে যার জন্য এত মেয়ে পাগল সে কিনা আমাকেই ভালবাসে।
হুট করেই রাক্ষস তা হাজির।চলো বাইকে ওঠো।লেট হয়ে যাচ্ছে।বাইকের পিছে উঠে মনে হচ্ছিলো আমি যেন একটা হেলিকপ্টারে উঠেছি।এত জোরে চালাচ্ছিলো।আমি বাধ্য হয়ে বললাম ভাইয়া একটু আস্তে চালাও না আমার না ভয় করছে।বলতেই বাইক টা থামিয়ে মায়াবী নজরে আমার দিকে তাকিয়ে বললো এত সুন্দর করে কথা বলবে না আমার সাথে প্লিজ।আমাকে রাক্ষস খোক্ষস ভেবেই ঝগড়া করো ওকে।
ওমনি মুখ ঘুরিয়ে বললাম তোমাকে ঝগড়া করে বললে তো আমার কথা রাখতে না তাই বাধ্য হয়েই বলেছি।নইলে খেয়ে কাজ আছে তোমার মতো শত্রুকে আমি আদর করি।
আহ!আদর
ওহ বুঝেছি ওইটার ইচ্ছা হচ্ছে বুঝি।
কাল রাতের আদর ভুলো নি তাইতো।
আসো তুমি যখন চাইছো।
চলবে,,,,,
Share:

একাত্ম ভালবাসা


শয়তান টা মনে হয় মনে মনে এটাই চাচ্ছিলো যে আমাকে কোলে নিয়ে একজন হিরোর পরিচয় দিবে।কিন্তু আমি আমার মনে হচ্ছে জাহান্নামের চৌরাস্তায় নিজেকে আত্মসমর্পণ করছি।ভিলেন দের মতো মোচের নিচ দিয়ে হেসেই যাচ্ছে আর বলছে এত মটু কেনো তুমি কম করে ৯০ কেজি হবা।
,
,
বাবা তোমাকে নিতে গিয়ে আমার জান জীবন সব বেরিয়ে গেলো। একটু কম কম খেতে পারো না।আমি বলছি দেখুন মাইন্ড ইওর ল্যাংগুয়েজ। আমাকে ছাড়ুন আমি একাই পারবো আমাকে ঠেলে ফেলে দিয়ে আবার কোলে তুলে কথা শোনানো হচ্ছে।মনে হচ্ছে এখান থেকে আপনাকে ফেলে দি।।
আহ হা আমাকে ফেলে দিলে তুমি আমাকে কোলে তুলতে পারবে । হু আমার বয়েই গেছে কোলে তুলতে দুই পায়ে দঁড়ি বেঁধে টানতে টানতে উপরে তুলতাম।
,
,এই কি বললে তুমি আমি কি গরু নাকি যে এভাবে দঁড়ি দিয়ে টেনে তুলতে।আমার মতো এত টুক পিচ্চি মেয়েকে তাই টেনে টুলতে পারে না হাহাহাহাহ বলেই অট্ট হাসি।ওদিকে শান্তর প্রাণ যাচ্ছে যতই হোক সিঁড়ি দিয়ে একটা মানুষ কে উপরে টেনে তোলা কম কষ্টের না।
,
একাত্ম ভালবাসা
একাত্ম ভালবাসা

শেষ মেষ মৌ এর রুমে পৌছালাম।মৌ আর পিহু এক ই রুমে থাকছে। আচ্ছা তোমার নাস্তা টাও আমি উপরে এনে দিচ্ছি মহারানী।মনে মনে ভাবলাম দে তা আবার শোনার কি আছে রে শয়তান খোক্কস।বলতে বলতেই পিহু খাবার নিয়ে হজির।আমি পিহু আপু কে বলছি আচ্ছা আপু এখানে আসার আগে শুনেছি একজন খুব শান্ত আর ভদ্র ছেলে কিন্তু এসে দেখছি লেজ হীন এক উল্লুক।হুম তা কে রে সেই উল্লুক টা।ওই যে সামনেই দাঁড়িয়ে। শান্ত প্রচন্ড রগি রাগি চোখ এ চোখ দুটো যেন তার রক্ত কমল হয়ে আছে কি বললে তুমি আমি উল্লুক এর মতো।
,
,
ক্লাসের শত বালিকার ক্রাশ আমি তোমার মতো মহা বলির পেত্নি না।কি বললে আমি পেত্নি আমি হলাম ক্যাটরিনা।দুজনের তো সেই ঝগড়া চলছে শান্ত রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। এর ই মাঝে মৌ এর বাবার ফোন।মা তুই তোর মামাদের কলেজেই ভর্তি হয় যা।ওখানে শান্ত আছে তোর খেয়াল রাখবে।বাবা কে রাগে কিছুই বললাম না।ওই শান্তর সাথে কলেজে যেতে হবে ভেবে আমার শরীর পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।
রাতে খেয়ে মৌ আর পিহু আপু সুয়ে পড়লো।মাঝে রাতে দেখি পিহু আপু আমার পাশে নেই। ফিস ফিস করে কারো সাথে কথা বলছে কিন্তু পিহু আপু চোরের মতো এদিক সেদিক তাকাচ্ছে ক্যান আমি সেটাই বুঝছি না।নিজের বরের সাথে কথা বললে তা টেনশন নিয়ে কেনো।আমি উঠে পিহু আপু খোজে গিয়ে অন্ধকারে ধাক্কা খেলাম মনে হলো ওয়ালের সাথে ধাক্কা খেলাম।কিন্তু অন্ধকারের হাতড়াতে হাতড়াতে যেন মনে হলো চোখ মুখ হাতে বেঁধে গেলো আমি প্রচন্ড ভয়ে চিৎকার দিতে যাবো ঠিক তখন ই কেউ আমার মুখ চেপে টানতে টানতে ছাদে নিয়ে গেলো।
,
,
না পারছি চিৎকার করতে না পারছি কিছু করতে।ছাদে চাঁদের আলোতে বুঝতে পারলাম যে এটা শান্ত।এবার আমি রাগে মুখ খুললাম এই গুন্ডা আপনার চরিত্রের তো মোটেও ঠিক নেই।সব সময় একটা খারাপ নজর দিয়ে আছেন আমার দিকে।তখন শান্ত বলে তাই নাকি ছোট বেলা আমাকে বার বার জড়িয়ে ধরতি সেটা ভুলে গেছির বুঝি।কিভাবে আমার বুকের উপর সুয়ে সুয়ে পাপ্পি দিতি কিছু মনে নেই বুঝি।আমি ঘোড়া হতাম আর তুই আমার পিঠে ঘোড়ায় চড়তি।আমি মুখ ঘুরিয়ে বললাম হুহ খেয়ে কাজ নেই তাইতো আমার যে এমন লুচুর ঘাড়ে উঠবো।
,
,
কি বললি আমি লুচু দাঁড়া একটু লুচ্চামি করলে বুঝবি লুচু কি।বলেই শান্ত আমাকে ওয়ালে চেপে জোর করে আমার ঠোঁট ওর আয়ত্তে নিয়ে পাগলের মতো কিস করছিলো।শান্ত যেন একটা অন্য জগতে গিয়ে নিজে কন্ট্রোল হীন হয়ে পড়েছিলো।আমার আঙুলের ভাজে ওর আঙুল দিয়ে চেপে ধরে আমাকে ছড়ানোর অবস্হায় রেখেছিলো না।অনেক চেষ্টার পরে ১০-১৫ মিনিট পরে আমাকে ছাড়লো।আমি কাঁদতে কাঁদতে রুমে প্রবেশ করে দেখি পিহু আপু ভিতরে নেই।আমি ওই বিশ্রি ঘটনা টা ভুলতে পারছি না ছিঃকি হয়ে গেলো আমার জীবনে এটা।আজ অবধি কেউ আমাকে টাস করে নি আর এই ছেলেটা আমাকে এভাবে কিস করলো।মনে হচ্ছে ঠোঁট দুইটা কেটে ফেলি।বার বার নিজের ওড়না আর টিস্যু দিয়ে লিপ মুছেই যাচ্ছি।ওদিকে খেয়াল করলাম পিহু আপু বলছে তুমি চিন্তা করো না আমি ঠিক টাইমে চলে যাবো।কি ব্যাপার পিহু আপু কার সাথে যাওয়ার কথা বলছে।ওই দিকে শান্ত নিজের অপরাধ বোধে সারারাত ঘুমাই নি।সারারত পাইচারি করেছে বারান্দা দিয়ে।
পিহু আমাকে বলছে কিরে তুই কাঁদছিস কেনো।কি হয়েছে।আমি কিছুই বলতে পারছি না আমার কি হয়েছে।আমি ভুলতে পারছি না ওই ঘটনা টা।কেঁদেই চলেছি।
পরের দিন ঘুম থেকে উঠেই দেখি রক্তলাল চোখ নিয়ে শান্ত দরজার সামনে হাজির প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও মৌ আমি না বুঝে এমন করেছি।আমি ওর কথায় কোনো পাত্তা না দিয়ে নিচে চলে গেলাম।নাস্তার টেবিলে সবাই শুধু শান্ত আসে নি ওর নাকি খেতে ইচ্ছা হচ্ছে না।আমার বুঝতে বাকি নেই যে শান্ত কাল রাতের ঘটনার জন্য খাবার টেবিলে আসছে না।
চলবে,,,,
আপনারা উৎসাহ দিলে আমি লিখে যাবো।গল্প নিয়ে মতামত দিন প্লিজ।
Share:

একাত্ম ভালবাসা

#একাত্ম_ভালবাসা
#পার্টঃ৭
#writerঃমৌসুমি_আক্তার

🌿
আমি রেগে মেগে বলে উঠি তুমি কত গুলা মেয়ের সাথে এগুলা করেছো শুনি।শান্ত ভাইয়া বলে প্রথম তোমার সাথেই করেছি।ঝগড়া করতে করতে দুজন সারারাস্তা এলাম।তারপর দুজন বাসায় ফিরলাম।সেই জুতাটা গেট এ দেখে আমার কাছে ব্যাপার টা সন্দেহের লাগে তাই আমি শান্ত কে কিছুই বলি না,, কারণ সন্দেহ টা আমার পিহু আপুকেই হচ্ছিলো যতই হোক শান্তর বোন তাকে এটা বলা ঠিক হবে না।মনে মনে রেখে পিহু আপু কে বলি আচ্ছা আপু ওই জুতা টা কার পিহু আপু বলে আমার।আচ্ছা তাহলে কি পিহু আপু পরশ ভাইয়ার রুমে ছিলো।

নাহ! ছিঃ
পিহু আপু এতটা খারাপ না। আবার পিহু আপু তো আজ কলেজ ও গেলো না তাহলে পিহু আপু গেলো কোথায়।আমি বেশী একটা চাপ নিলাম না পিহু আপুর কাছে আর কিছুই জানতে চাইলাম না।

আচ্ছা আপু কোথায় ছিলে আজ তুমি।
একাত্ম ভালবাসা
একাত্ম ভালবাসা

এইতো বান্ধবীর বাসায়।

তা কি খেলে।

এই চিকেন ফ্রাইড রাইস।

আমার চোখ দুইটা বড় বড় হয়ে গেলো কারন পরস ভাইয়ার বাসায় আমি আর শান্ত ও চিকেন ফ্রাইড রাইস খেয়েছি।আমাকে আর একটু বিষয় টা শিওর হতে হবে।এদিকে বাড়িতে পিহু আপুর বিয়ে নিয়ে ধুম পড়ে গেছে।আমি শান্তর বাইকে রোজ কলেজে যাওয়া আসা করছিলাম।এভাবেই চলছিলো বেশ কয়েক টা দিন।

শান্ত যে কবে আমাকে ধীরে ধীরে অনেক বেশী ভালবেসে ফেলেছিলো সেটা আমিও বুঝতে পারি নি।সেই ভালবাসা টা অসম্ভব রকমের পাগলামির ভালবাসা।আমার দিকে কেউ তাকালেও শান্ত যেন চোখ দুইটা তুলে নিতে পারলে শান্তি পেতো।

আজ আমি শান্ত কে ছাড়াই কলেজ গেছি।শান্ত কলেজের অনেক বড় পলিটিক্যাল লিডার ছিলো।রোজ মারামারি ঝামেলা অশান্তি লেগেই থাকতো তার।এটা ছিলো তার রোজ কারের অভ্যাস।হটাত ই সেদিন কলেজে অনেক বড় ঝামেলা হয় শান্ত সেদিন একা ছিলো ওর দলের লোক জন কেউ না থাকায় শান্তকে একা পেয়ে মারার চেষ্টা করছিলো। আমি দূর থেকে দেখে ঝামেলার মাঝে উপস্হিত হয়ে পড়ি।।শান্তর কপাল ঘেমে বৃষ্টির ফোটা পড়ছে আর চোখ দুটো রক্ত কমল হয়ে আছে। আমাকেই দেখেই শান্ত বলে মৌ কুইক এখান থেকে যাও। প্লিজ তুমি এখান থেকে যাও।কারণ শান্ত ভয় পাচ্ছিলো আমাকে যদি ওরা কিছু করে।আমি ওই ছেলে গুলাকে বলি আপনারা কলেজে আসেন কেনো?এসে কলেজের পরিবেশ নষ্ট করেন। আপনাদের জন্য তো কলেজে ছেলে পেলে ঠিক ভাবে ক্লাস ও করতে পারে না।আমার মাথা তখন ঠিক ছিলো না শান্ত কে এট্যাক করতে দেখে। তখন ই ওদের মাঝের একজন ছেলে বলে কি বললি এখানে এসে উপদেশ দিচ্ছির আমাদের বলেই কয়েক টা গালি দেই আর বলে শান্তর উপর খুব টান দেখছি না। বলেই ওরা ছুরি দিয়ে আমার হাত হালকা ভাবে কেটে দেই সাথে সাথেই রক্ত গড়িয়ে পড়ে।শান্তর দিকে তাকিয়ে আমি ফ্যাল ফ্যাল করে কেঁদে দিয়েছিলাম,,সেই দৃশ্য দেখে শান্তর কি হয়েছিলো জানিনা পাগলের মতো একা একটা ছেলে সব গুলা ছেলেকে খুব মেরেছিলো আর কুঁপিয়ে ছিলো।শান্ত যেন একটা জলন্ত অগ্নি হয়ে উঠেছিলো।সেই ঘটনার জন্য পুলিশ শান্ত কে এরেস্ট ও করেছিলো।কিন্তু ক্ষমতা আর পাওয়ারের জন্য শান্তকে পুলিশ এক ঘন্টা ও আটকে রাখতে পারে নি।টাকা দিয়ে মামা ছাড়িয়ে আনে।

শান্ত বাসায় ফিরে দেখে আমার প্রচন্ড জ্বর। আমার হাত টা ব্যান্ডেজ করা।অঝরে লুকিয়ে অনেক কেঁদেছিলো সে।আমার এক ফোঁটা কষ্ট শান্ত সহ্য করতে পারতো না।

এক রাতেই আমার জ্বর টা কমে গেছিলো কারন মামি আর পিহু আপু সারারাত আমার মাথায় জল পট্টি দিয়েছিলো।আর শান্তকে খুব বকেছিলো।আমার রাত তিন টার দিকে জ্বর একটু কমলে আমি বাইরে গিয়ে দেখি শান্ত ভাইয়ার রুমের দরজা খোলা কিন্তু শান্ত ভাইয়া রুমে নেই।আমি ছাদে গিয়ে দেখি একটার পর একটা সিগারেট টেনেই যাচ্ছে।শান্তর ভিতর টা জ্বলন্ত সিগারেট এর মতো জ্বলে যাচ্ছে।হটাত খেয়াল করে আমি দাঁড়িয়ে আছি শান্ত সিগারেট টা ফেলে দিয়ে আমার কাছে এসে আমাকে ভীষণ ভাবে জড়িয়ে ধরে। বলে বউ পাখি আমার জন্য এত কষ্ট পেয়েছো তুমি।একটা মেয়েদের মতো অঝরে কেঁদে যাচ্ছে,,, শান্ত কে আমি কখনো এত ইমোশনাল হতে দেখি নি।মনে যা থাকে ও কখনো প্রকাশ করে না।সেদিন যখন প্রথম বার ও বলেছিলো আমাকে,,

মৌ আমি তোমাকে প্রচন্ড ভালবাসি।আমার নিজের থেকেও বেশী ভালবাসি।জানি আমাকে তুমি বিরোধী পক্ষ ভাবো। আমি অন্য দের মতো হাজার হাজার মেসেজ বা ইমপ্রেস করার মতো কিছুই করতে পারি নি।তাই হয়তো আমি তোমাকে বোঝাতে পারবো না।কিন্তু আমি তোমাকে প্রচন্ড ভালবাসি বউ পাখি টা।আমি তোমার জন্য এইসব মারামারি ছেড়ে দিলাম।তোমার কি অনেক রক্ত বেরিয়েছিলো।আসলে আমি ও শান্ত কে প্রচন্ড ভালবেসে ফেলেছিলাম কিন্ত প্রকাশ করতাম না।আমি শান্ত কে বলছিলাম এবার ছাড়ো আমাকে গুন্ডা। আমি ঠিক হয়ে গেছি।তোমার জন্য আমার হাত কেটেছে বলে আমাকে পাম দিয়ে দিচ্ছো তাইতো।শান্ত বলে দেখ পিচ্চি আমার ভালবাসা নিয়ে ফান করবি না।

এই আমি কি একবারে পিচ্চি হ্যা তুমি আমাকে পিচ্চি বলো।

হ্যা পিচ্চি তো।

ছোট বেলা কত কোলে নিয়েছি আয় কোলে উঠবি নাকি।ছোট বেলা তো বার বার এসে পাপ্পি দিতি আর আমি ধরে মারতাম।

কি এত বড় সাহস আমাকে মারতে তবে রে।বলেই ওই মাঝ রাতে আমি শান্তকে ধরার জন্য ছুটছিলাম আর ও দৌড়াচ্ছিলো।দৌড়াতে দৌড়াতে দুজন সারাবাড়ি মাথায় করে নিয়েছিলাম আর দুজনে খুব হাসছিলাম।বাড়ির সবার ই ঘুম ভেঙ্গে যায় আমাদের দুষ্টিমি তে।মামা বলেন যাক ওদের ঝগড়ার সমাপ্তি এত দিনে হয়েছে।যা এবার একটু ঘুমিয়ে নে কাল আবার পিহুর গায়ে হলুদ।

বিগত এক মাসে আমার আর শান্তর মাঝে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা। অনেক মান অভিমান আর পাল্লাপাল্লি।

কারন আমি মামি কে বলতাম আচ্ছা শান্ত ভাইয়ার যে চয়েজ এমন মেয়ে কোথায় পাবা তোমার ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার জন্য।তখনি শান্ত ভাইয়া বলতো আমার কাছে সব মেয়েকে পেত্নির মতো লাগে।আমার যে বউ হবে সে হবে বিশাল সুন্দরী আর স্মার্ট আর আমার মার খাওয়ার ধৈর্য থাকতে হবে। তখন মামি বলতো ও নাকি কোন বিদেশি মেয়েকে মন দিয়ে বসে আছে তাই ওর জন্য আমাদের ভাবনা নেই রে মা।শান্ত বলতো একদম ঠিক মা। বাট মৌ কে নিয়ে আমার চিন্তা হয় ওর জন্য ভালো ছেলে কই পাবো।কোনো আবুল টাবুল ছাড়া কে বা ওরে পছন্দ করবে যা বাট্টু ও। এত খাটো।মেয়ে চলে না।কত ভাবে যে আমাকে রাগিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই।

পিহু আপুর গায়ে হলুদের জন্য আমরা শপিং এর উদ্দেশ্য বের হলাম।আমি সুন্দর সুন্দর কিছু ড্রেস কিনলাম।সবার মনে এত হাসি আনন্দ কিন্তু হাসি নেই পিহু আপুর মনে।আমি এতদিনে বুঝে গেছি পিহু আপু আর পরশ ভাইয়ার মাঝে একটা রিলেশন আছে।পিহু আপু আমার কাছে সব টা শেয়ার করতো।

বিয়ের মাত্র সাত দিন আগে থেকে পিহু আপু আমাকে জানিয়েছে তার ভালবাসার কথা।এদিকে মামা পুরা শহর কে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। মামা মামির মুখের দিকে চাইলে তাদের আনন্দের যেন শেষ নেই আমি তাদের এই খুশি টা নষ্ট হতে দিতে পারি না।আমি পিহু আপু কে অনেক বুঝালাম।আপু ও মেনে নিলো সব টা।কিন্তু আমার কাছে একটাই দাবি করলো বিয়ের আগে আমি যেন তাকে একবার পরশ ভাইয়ার সাথে দেখা করাই।আসলে আমার ও খারাপ লাগছিলো ভালবাসার মানুষ কে ছেড়ে অন্য কে বিয়ে করাটা খুব ই কষ্টের। আমি ও রাজি হই পিহু আপুকে পরশ ভাইয়ার সাথে দেখা করানোর জন্য।

আবার এদিকে শান্ত আমাকে বলতো তুমি কিন্তু পরশ কে বেশী প্রশ্রয় দিবে না।ও কিন্তু খুব বড় মাপের লুচ্চা।

চলবে,,,,

(গল্পের প্রথম কয়েক পার্ট একটু ন্যাকা টাইপ হলেও এই গল্প সবার হৃদয় স্পর্শ করবে। এই গল্পটা অনেক কষ্টের হবে শেষ পর্যন্ত)
Share:

Definition List

Unordered List

Support